বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় শেষ তিন বাংলাদেশির লাশ দেশে আনা হয়েছে। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বিকেল ৫ টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০৭২ ফ্লাইটে লাশ তিনটি ঢাকায় আনা হয়। পরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাংগার গেটে ডেথ সার্টিফিকেটসহ লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নজরুল ইসলামের মরদেহ রাজশাহী, পিয়াস রায়কে বরিশাল এবং আলিফুজ্জামানকে খুলনায় দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরে লাশবাহী তিনটি অ্যাম্বুলেন্স নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এর আগে, গত সোমবার বিমান বাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ দেশে আনা হয়। তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
ওই সময় নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় সেগুলো দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বুধবার জানান, নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ শনাক্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর তাদের লাশ দেশে ফেরত পাঠাতে কোনো বাধা নেই।
‘এ ব্যাপারে ইউএস-বাংলার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা মরদেহগুলো দেশে নেয়ার বিষয়ে কাজ করছে’- বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত সাত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও ভারতে পাঠানো হয়।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।