বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামী এমপি রানাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামী পক্ষ থেকে মামলার বাদীর আংশিক জেরা সম্পন্ন শেষে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন। আগামীকাল বাদীর অসমাপ্ত জেরা ও অন্যান্য সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে ফারুক হত্যা মামলার আসামী আমানুর রহমান খান রানাসহ অন্যান্য আসামীদের টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১১ টা ২০মিনিটে আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী নিহত ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার আংশিক জেরা সম্পন্ন হয়। আদালতে আজ নাহার আহমেদকে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা ১১টা ২০মিনিট থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত জেরা করে। পরে জেরা অসমাপ্ত রাখেন। পরে আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন। আগামীকাল বুধবার বাদীর জেরা ও অন্যান্য সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এই মামলায় কারাগার থেকে আমানুর রহমান খান রানা এমপি, আনিসুল ইসলাম রাজা, সমির ও মোহাম্মদ আলীকে আদালতে হাজির করা হয়। অপরদিকে জামিনে থাকা ফরিদ আহমেদ, নাসির উদ্দিন নুরু ও মাসুদুর রহমান মাসুদ আদালতে হাজির হয়। বাকী আসামী পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আব্দুর গফুর, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম রফিক, এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, এডভোকটে এস আকবর খানসহ অন্যান্য আইনজীবী। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া, এডভোকেট ফাইজুর রহমান, এডভোকেট সায়েকুজ্জামান নাজিরসহ অন্যান্য আইনজীবী।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনার দুই দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত হয়। তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসআই অশোক কুমার সিংহ (পিপিএম) এ হত্যাকাণ্ডে এমপি রানা ও তার ভাইদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পান।
দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন, সানিয়াত খান বাপ্পা সহ ১৪জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক গোলাম মাহফিজুর রহমান। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর এমপি রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। নয় বার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি ১০ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।