Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

মিটারের সাথে রিডিংয়ে অমিল গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত বিল

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদাতা
ময়মনসিংহের গৌরীপুর বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের আওতায় গৌরীপুর পৌর শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক অনেক গ্রাহকদের মিটারের সাথে বিলের রিডিং এর কোন মিল না থাকায় গ্রাহকদের গুনতে হয় অতিরিক্ত বিল। প্রায়সই এমনেই অভিযোগ পাওয়া যায়। ভোক্তভোগি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মাসেই একই বিল হওয়ায় অনেক গ্রাহকদেরই সন্দেহ প্রকাশপায়, এতে গ্রাহকরা সাধারণত বিদ্যুৎ বিলের সাথে মিটারের রিডিং মিলিয়ে দেখেন না। বিলের তারতম্য হলেই, কেউ কেউ যদি সন্দেহের বসে মিটার মিলিয়ে দেখেন তখন দেখা যায় মিটারের সাথে বিলের ব্যবহৃত অতিরিক্ত ইউনিট। এই অতিরিক্ত ইউনিটের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় এতে গ্রাহকদের বিব্রততকর সহ টাকা ম্যানেজের সমস্যা। মিটার রিডার নিয়মিত পরিদর্শন না করায় অনুমান নির্ভর বিল করে। আবার অনেক সময় দুই মাসের বিল একত্রে আসে। অভিযোগ রয়েছে যে, অনেক এলাকায় মিটার রিডারের কাজটি স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে করানো হয়। বিদ্যুত বিল সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়ার পর পরবর্তী মাসের পরিশোধকৃত বিল ও চলতি মাসের বিলের সাথে একত্রে বিল করে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে পরিশোধকৃত বিলের কপি যদি সংগ্রহ করে না রাখেন তবে উল্লেখিত বিদ্যুতবিলটি সঠিক। অপরদিকে বিলপরিশোধকৃত কপি সংগ্রহে থাকলে তা দেখালে হাতে লিখে অথিরিক্ত টাকা কেটে দেন। এ ব্যাপারে উত্তর বাজারের গ্রাহক নাছির উদ্দিন জানান, আমার বাণিজ্যিক ও আবাসিক মিটারের প্রতি মাসেই বাড়তি বিল করে আসছে এ ব্যাপারে একাধিকবার অফিসে যোগাযোগ করে আবাসিক প্রকৌশলীকে পাওয়া যায়নি। পরে নির্ধারিত তারিখে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করি। বর্তমানে বাণিজ্যিক মিটারে প্রদর্শিত ইউনিটের চেয়ে বিলে লিখিত অতিরিক্ত ৭০০ ইউনিট বেশি করা হয়েছে। মধ্য বাজারের ব্যবসায়ী অজিত মোদক জানান, তার মিটারে ও বিলের সাথে কোন মিল নেই, ফলে বাড়তি বিল পরিশোধ করেন। এ ব্যাপারে তিনি বিলের কপি নিয়ে অফিসে গেলে কর্তপক্ষ বিল কমিয়ে দেন। গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, তার স্কুলের ২টি মিটারের সাথে বর্তমান মাসের বিলে প্রায় ৫০০ ইউনিট করে বেশি করে বিল করা হয়েছে। এ অনিয়মটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে। এ ব্যাপারে আবাসিক প্রকৌশলীর কাজল কুমার সরকার বলেন, বিলের কোন সমস্যা হলে আমার কাছে নিয়ে আসুন ঠিক করে দেব। গ্রাহকদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া বিদ্যুত অফিসের টেলিফোন নাম্বারে কল করলে রিসিফ করা হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিটারের সাথে রিডিংয়ে অমিল গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত বিল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ