রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের কৃষক মো. সামউল মোল্লা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাগিং পদ্ধতিতে সবরি কলার চাষ করেন। এ পদ্ধতিতে কলার ব্যানানা উইভিল পোকার আক্রমণ হয় না। কলার উপর তিলা দাগ পড়ে না। কলা মসৃণ, ভাল শেপ, রং ও গঠন আকর্ষণীয় হয়। বাজারে ক্রেতার কছে এ কলার কদর রয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি হয়। পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প জানিয়েছে, ৩ জেলায় সবরি জাতের কলা ১০ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। প্রতি একরে কৃষক ১ হাজার কলা গাছ রোপণ করেছে। কলা আবাদের এক বছরের মধ্যে কৃষক ফলন পায়। প্রতি কাঁদি কলা বিক্রি করে খরচ বাদে চাষি ৫০ টাকা লাভ করেছে। কিন্তু ব্যাগিং পদ্ধতির কলার মান ভালো হওয়ায় প্রতি কাঁদিতে কৃষক খরচ বাদে অতিরিক্ত ২৫ টাকা বাড়তি আয় করতে পারেন। ফলে সাধারণ পদ্ধতিতে একরে কলা বিক্রি করে কৃষক ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। আর ব্যাগিং পদ্ধতিতে একরে অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়া প্রতি হেক্টর থেকে কৃষক ৪ হাজার কলার চারা বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের কলাচাষি মো. সামউল মোল্লা বলেন, ব্যাগিং পদ্ধতিতে এ বছরই প্রথম কলা চাষ করে সফল হয়েছি। রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটউিট থেকে প্রতিটি ব্যাগ ৩৫ টাকা দরে কিনে এনেছি। মোচা কাটার ৭ দিন পর কলায় কাঁদি ব্যাগ দিয়ে মুরিয়ে দিয়েছি। ব্যাগের কলা সাধারণ কলার তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। বাজারে এ কলা চাহিদা ভাল। একটু বেশি দামে ব্যাগিং পদ্ধতির কলা বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা লাভ করেছি। অন্যান্য যে কোন ফসলের তুলনায় কলা চাষ লাভজনক বলেও তিনি জানান। পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাশার বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় লাভজনক কলা চাষ করে কৃষক ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন। ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষেও ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ পদ্ধতিতে কলা চাষে ব্যানানা উইভিল পোকার আক্রমণ হয় না। কলার উপর তিলা দাগ পড়ে না। কলা মসৃণ, ভাল শেপ, রং ও গঠন আকর্ষণীয় হয়। বাজারে এ পদ্ধতির কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ করে কৃষক অতিরিক্ত মুনাফা ঘরে তুলে লাভবান হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।