Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকিপূর্র্ণ ভবনেই চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম

| প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

দাগনভূঞা (ফেনী) থেকে সৈয়দ ইয়াছিন সুমন:
দাগনভ‚ঞা উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অংশের দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে চলছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। মূল প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও অন্যান্য ভবনগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই কারণে আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্ত কর্মচারীগণ। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের দশা আরো নাজুক। আবাসিক ভবনের পাঁচটি ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে গণপূর্ত বিভাগের তত্তাবধানে ৫.৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। গত কয়েক বছর থেকে ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অযোগ্য হতে থাকে। এরই মধ্যে পাঁচটি আবাসিক ভবন ব্যবহারের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে তিনটি আবাসিক ভবন নিলামে দেয়া হয়েছে। অন্য দুটি আবাসিক ভবনেরও নিলাম প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাটল। ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়া শুরু হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ে ছাদ নষ্ট হয়ে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষের বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। মূল প্রশাসনিক ভবনে ইউএনওর কার্যালয় ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানের কার্যালয়, প্রকৌশল বিভাগ, কৃষি সম্প্রসরণ বিভাগ, মৎস্য অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা কার্যালয়, প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়, পরিসংখ্যান ও পিসাদ বিভাগের কার্যালয় রয়েছে। মূল প্রশাসনিক ভবনের বাইরে রয়েছে রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়, যুব উন্নয়ন কার্যালয়, আনসার ভিডিপি কার্যালয়, সেটেলমেন্ট ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। যে ভবনগুলো মূল প্রশাসনিক ভবনের চেয়েও জরাজীর্ণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভ‚ঞা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন স্থানে বিমে ফাটল ও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সংস্কার এবং মেরামত না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অফিস চলার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্কে দিন কাটে। তিনি বলেন, আবাসিক ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভাড়া বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ইউএনও বলেন, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় নতুনভাবে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। দাগনভ‚ঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবিল রতন বলেন, পরিষদ ভবনটি দ্রুততম সময়ে নতুন করে নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় ইনকিলাবকে জানান, তিনি বিষয়টি অবগত আছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিতভাবে প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঝুঁকিপূর্র্ণ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ