রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা
সিলেটের বিশ্বনাথে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দলীয় কোন্দল ফের মাতাছাড়া দিয়ে উঠেছে। তফশীল ঘোষণার পর উপজেলা আ.লীগের একাংশে (শফিকুর রহমান চৌধুরী) পক্ষ থেকে প্রার্থী নির্বাচনে গত মঙ্গলবার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি হাজী মবশ্বির আলী এবং সভা পরিচালনা করেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বাবুল আখতার। সভায় তৃণমূল নেতারা দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে গোপন ভোট প্রদান করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে গত বুধবার জেলা আ.লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে সিলেটে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষিত হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এদিকে গত বুধবার দুপুরে উপজেলা আ.লীগের অপরাংশের (আনোয়ারুজ্জামানা চৌধুরী) পক্ষ থেকে স্থানীয় একটি বাসায় আ’লীগের সভা করে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। এসময় সভার সভাপতি হাজী মজম্মিল আলী এখনও নিজেকে উপজেলা আ.লীগের বৈধ সভাপতি এবং পংকি খানকে অবৈধ সভাপতি বলে দাবি করেন। পাল্টা-পাল্টি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মী, দলীয় সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীরা। জানা গেছে, দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় সাবেক সাংসদ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর চৌধুরীর ও যুক্তরাজ্য আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে কেন্দ্র করে সিলেট-২ আসনের আওয়ামী পরিবারের বিভক্তি দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আগামী ৭মে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে বিশ্বনাথে পৃথক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। বিশ্বনাথ উপজেলা আ.লীগের শফিকুর রহমান চৌধুরী গ্রুপের প্রার্থীরা হলেন, ১নং লামাকাজী ইউনিয়নে ডা. শানুর আলী, ২নং খাজাঞ্চী, শংকর চন্দ্র ধর, ৩নং অলংকারী, রফিক মিয়া, ৪নং রামপাশা, আলমগীর হোসেন, ৫নং দৌলতপুর, আমির আলী, ৬নং বিশ্বনাথ, আং জলিল জালাল ও ৭নং দেওকলস ইউনিয়নে আবুল কালাম জুয়েলকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। উপজেলা আ’লীগের অপরাংশ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গ্রুপের প্রার্থীরা হলেন, ১নং লামাকাজি ইউনিয়নে ডা. শানুর আলী, ২নং খাজাঞ্চী, পীর মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন, ৩নং অলংকারী, আরশ আলী, ৪নং রামপাশা, আজিজুর রহমান, ৫নং দৌলতপুর, আছাব উদ্দিন, ৬নং বিশ্বনাথ, ছয়ফুল হক ও ৭নং দেওকলস ইউনিয়নে ফখরুল আহমত মতসিনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আনোয়ারউজ্জমান চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সিলেট জেলা আ.লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে তাদের প্রার্থী হওয়ার কথা জানান। তবে এ বিষয়ে জেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে এখনও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। জেলা এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে দলীয় কোন্দল নিরসন করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সমন্বয় করে আ’লীগের পক্ষ থেকে দলীয় একক প্রার্থী ঘোষণা দাবি সাধারণ নেতাকর্র্মীদের। তারা মনে করেন দলীয় একক প্রার্থী নির্বাচনে ব্যর্থ হলে নৌকা প্রতীকের ভরা ডুবি ঠেকানো যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।