রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আলমগীর হোসেন, বুড়িচং (কুমিল্লা) থেকে
বুড়িচংয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দানের শেষ দিন ছিল গত ২৭ মার্চ। এবারের নির্বাচনে বুড়িচং উপজেলার মোট ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়ন বাদে মোট ৭টিতে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। বাকি ওই দুটি ইউনিয়নে পরবর্তী ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৭টি ইউনিয়ন যথাক্রমে ১নং রাজাপুর, ২নং বাকশীমুল, ৩নং বুড়িচং সদর, ৪নং পীরযাত্রাপুর, ৫নং ষোলনল, ৬নং ময়নামতি ও ৭নং মোকাম ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য ওই নির্বাচনে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে ২৭২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এর মধ্যে ২৫৩ জন মেম্বার প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৬৫ জন থেকে প্রার্থী থেকে ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরে আলম জানান, উক্ত নির্বাচনে ৩০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে জমা দিয়েছেন। বুড়িচং উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন, ১নং রাজাপুর ইউনিয়ন থেকে মো. মোস্তফা (আ’লীগ), মো. শাহআলম (স্বতন্ত্র), মো. আমিনুল ইসলাম (জাপা), মো. বেলায়েত হোসেন খান (বিল্লাল) (বিএনপি) ও মো. তফাজ্জল হোসেন খান (স্বতন্ত্র)। ২নং বাকশীমুল ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন, প্রবীণ শিক্ষাবিদ মো. মোস্তফা মাস্টার (আ’লীগ), মো. মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র), মো. মনির হোসেন (স্বতন্ত্র) ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির (বিএনপি)। ৩নং বুড়িচং সদর ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহআলম (আ’লীগ), মো. জাবেদ কাউছার সবুজ চেয়ারম্যান (বিএনপি) ও মো. জাকির হোসেন (স্বতন্ত্র)। ৪নং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেনÑ মো. জাকির হোসেন চেয়ারম্যান (আ’লীগ), মো. সফিকুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন), সাবেক চেয়ারম্যান মো. আক্তার আলী (বিএনপি), মো. বিল্লাল হোসেন (স্বতন্ত্র), মো. মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র) ও মো. আবুল কালাম (স্বতন্ত্র)। ৫নং ষোলনল ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেনÑ মো. সিরাজুল ইসলাম ঠিকাদার (আ’লীগ), মো. বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান (স্বতন্ত্র), সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলিম (বিএনপি), মো. আনোয়ার হোসেন আনু ঠিকাদার, মো. ছালেহ আহাম্মদ (স্বতন্ত্র)। ৬নং ময়নামতি ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেনÑ মো. লালন হায়দার (একক আ’লীগ) ও মো. সালাউদ্দীন (বিএনপি)। ৭নং মোকাম ইউনিয়ন থেকে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেনÑ মো. ফজলুল হক মুন্সী (আ’লীগ), মো. সাহেব আলী (স্বতন্ত্র), মো. মুজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মো. জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান (বিএনপি), ও মো. বিল্লাল হোসেন (স্বতন্ত্র)। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ থেকে দলের মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে ময়নামতি ইউপির চেয়ারম্যান মো. লালন হায়দার দলের একক মনোনয়ন প্রাপ্ত হওয়ায় ওই ইউনিয়ন থেকে আর কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি। কিন্তু অন্যান্য ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বেশ ক’জন স্বতন্ত্রের ব্যানারে (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে দেখা দিয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। টেনশনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। এদিকে, প্রশাসন নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।