পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দলের ত্রাণ উপকমিটির রিকশা-ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, কাজেই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো প্রকার সংকোচ, কোনো প্রকার ভয় নেই।’ তিনি বলেন, ‘কারণ উন্নয়ন-অর্জন করে আমাদের কর্ম দিয়ে আমরা ভয়কে জয় করে ফেলেছি। নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।’
আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কথা বললেও তা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এত চেষ্টা করেছে একটা আন্দোলন করার জন্য, মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। তার কারণ হচ্ছে, এ দেশের জনগণ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে পছন্দ করে না। প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি, আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশের জনগণ বিএনপি নামক বিষফোড়ার দলটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না, কাজেই বিএনপির কোন নেতা কী বলল, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করল, এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের মাথাব্যথা, কীভাবে আমাদের চলমান উন্নয়নের কাজগুলো সমাপ্ত করব।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে। আর বিএনপি নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমরা তরুণ ভোটার, মহিলা ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছি। বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথে এগোচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা মহলের সঙ্গে ওঠবস করছে, কীভাবে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা যায়, এ ব্যাপারে গোপন বৈঠক করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তবে এবার আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সেই দিন আর ফিরে আসবে না। পেট্রল বোমার রাজনীতি এই দেশের মানুষ চায় না। যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে, এই দেশের মানুষ তাদের কোনো দিন গ্রহণ করবে না।
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়, জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন তাদের নিজেদের মধ্যে, তাদের গোড়া সমর্থকদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ তাদের চায় না। এমনকি আগে যারা বিএনপি সমর্থন করত, কর্মী-সমর্থকেরাও আজকে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সম্মতি দিচ্ছি না। সারা বাংলায় আমাদের নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, ওমুক জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে চায়। আজকে বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। নেত্রীর কাছে থেকে আমরা গ্রিন সিগন্যাল পাইনি, সে কারণে আমরা সেই যোগদানে এখনো সম্মত হতে পারছি না। বিএনপির জোয়ারের দিন শেষ, এখন ভাটার টান।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।