Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিলুপ্ত কমিটির সন্ত্রাসী কর্মে আতঙ্ক আ’লীগ-যুবলীগে

ঈশ্বরগঞ্জে ক্ষমতাসীনদের দুই গ্রুপ

| প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক নেতাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আতঙ্কিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা। এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের মাঝেও। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পাচ্ছেন না। বিলুপ্ত কমিটির সাবেক নেতাদের টার্গেটে পরিনত হয়েছেন ব্যবসায়ী ও বিত্তশালীদের পাশাপাশি নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া নেতারা। প্রায় প্রতিদিনই এদের হাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা অপ্রিতিকর ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এদের দৌরাত্ম্যে থানা প্রশাসন নীরব ভ‚মিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও জমিদখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর এই কমিটি বিলুপ্ত করে গত জানুয়ারি মাসে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মূলত: এরপর থেকেই ঈশ্বরগঞ্জের দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেতারা মতিউর রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা এদের হামলার শিকার হয়েছেন। রেহাই পায়নি তাদের বাড়িঘর, সরকারি ও ব্যক্তিগত কার্যালয়। ভাংচুর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন।
সরজমিনে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নব গঠিত ঈশ্বরগঞ্জ যুবলীগের পক্ষ থেকে শহরে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় পৌঁছালে বিলুপ্ত কমিটির সাবেক নেতা মতিউর রহমান ও ১নং ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হানিফ সন্ত্রাসী মাজেদ বাবু ওরফে কালা বাবুর পৃষ্ঠপোষকতায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, দাও, লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিলকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় বাসভবনের ভেতরে থাকা দশ-বারোটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার পোস্টার ও ফেস্টুন। হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগের নতুন যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সালামের বাসভবন এবং থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। মতিউরের অত্যাচারে শুধু আওয়ামী লীগ নেতারাই নয়, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও অতিষ্ঠ। অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ