পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট, ক্রুসহ বাংলাদেশি ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। বাকি ১০ জন নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশি যাত্রী ও ক্রুদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকা নিহতরা হলেন, ফয়সাল আহমেদ, আলিফউজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, মো. রকিবুল হাসান, সানজিদা হক, মো. হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, এফ এইচ প্রিয়ক, তামারা প্রিয়মনি, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, পিয়াস রায়, উম্মে সালামা, অনিরুদ্ধ জামান, মো. নুরুজ্জামান ও মো. রফিকুজ্জামান।
এছাড়া, ইউএস বাংলার নিহত পাইলট ও ক্রুরা হলেন, ফ্লাইটের পাইলট আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা হুসাইন, এইচ এম শাফেয়ী।
তালিকা অনুসারে আহতরা হলেন, শাহরিন আহমেদ, শাহীন ব্যাপারী, ইয়াকুব আলী, রেজওয়ানুল হক, মেহেদি হাসান, এমরানা কবীর হাসি, কবীর হোসেন, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, শেখ রাশেদ রোবায়েত ও আলমুন নাহার অ্যানি। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুল হক ওম হাসপাতালে ও ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিরা আছেন কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজে (কেএমসি)।
এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) কামরুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ইউএস-বাংলার বারিধারার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি, যত দ্রæত সম্ভব সেখানকার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিহতদের লাশ দেশে এনে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। আর সেখানে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচসহ অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জাদের প্রতিটি ফ্যামিলির সঙ্গে যুক্ত আছে।
ইউএস-বাংলার এই কর্মকর্তা বলেন,‘চিকিৎসাধীনদের অবস্থা একেক জনের অবস্থা একেক রকম। কারো ব্যাপারে আমরা এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার সময় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস -২১১ রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে ৫০ জন আরোহী নিহত হন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।