Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এয়ারফোর্সের বিমান প্রস্তুত, লাশ দেশে পাঠানো হবে দ্রুত -নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেছেন, ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের লাশ দেশে দ্রæত পাঠানোর জন্য এয়ারফোর্সের বিমানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য দিয়েছেন।
কতদিন পর লাশ দেশে পাঠানো সম্ভব হবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সময় বলা মুশকিল। কারণ এখানে বেশকিছু প্রক্রিয়া আছে। খেয়াল রাখতে হবে, এমন বড় কোনও দুর্ঘটনা নেপালে গত ২৫ বছরে হয়নি। তাই এমন পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকলেও কিছু সমস্যা দেখা যায়।
মাশফি বিনতে শামস জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা নেপালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। লাশ শনাক্ত দ্রæত করা ও স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া বা দেশে পাঠানোই তাদের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে কোঅর্ডিনেশন সেল খোলা হয়েছে দূতাবাসে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে লাশ পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে দূতাবাস সক্রিয় আছে বলেও জানান মাশফি বিনতে শামস। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পেরেছি ১০ জন জীবিত আছেন। তারা এখানকার তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমি তাদের সঙ্গে দেখা করেছি।
আহতরা কতটুকু শঙ্কামুক্ত প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তাদের মধ্যে এককজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের ব্যাপারে আশ্বাস পেয়েছি। আশা করা যাচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন তারা।
আহতদের স্বজনরা যদি তাদের নিয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? রাষ্ট্রদূতে বলেন,‘যিনি শঙ্কায় আছেন তাকে স্বজনরা ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরে নিতে চান। আমরা ইউএস বাংলার সঙ্গে যোগাযোগটা করিয়ে দিচ্ছি যাতে এয়ারবাসে নেওয়া সম্ভব হয়।
দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে কোনও গাফলতি ছিল না বলে মন্তব্য রাষ্ট্রদূতের। তার কথায়, ‘যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ফায়ার ব্রিগেড ও সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সব সংস্থার লোকজন তাদের কাজ করেছেন। এখানকার প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেছেন। দুই ঘণ্টার মধ্যে সবাইকে বের করে আনা গেছে।’ এদিকে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার নেপথ্যে কন্ট্রোল রুমের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার (এটিসি) রুমের যোগাযোগ ত্রুটিকে দুর্ঘটনার কারণ মনে করছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন বিষয়টি তদন্ত করছে, ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হয়েছে। যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হবে। কার ভুলে এই দুর্ঘটনা তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ