পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম অভিযোগ করেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রও ততই ঘনীভূত হচ্ছে। আর এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জঙ্গীবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে এবং অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে আগামী ২০ মার্চ গণজমায়েত সফল করার লক্ষে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
জনগনই আওয়ামী লীগের শক্তি বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একাত্তরের মতো আগামী নির্বাচনেও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা হবে।
নাসিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কখনো দেশকে শান্তিতে পরিচালনা করতে দেয়নি। কারণ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন তাদের ভালো লাগে না। তারা দেশের উন্নয়ন দেখে ইর্ষান্বিত হয়। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের পর দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল সেভাবেই এখনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
১৪ দলের সমন্বয়কারী নাসিম আরও বলেন, গণজমায়েতে শুধু কেন্দ্রীয় ১৪ দল ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষের অংশ গ্রহণ করা উচিত। কারণ ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা কোন ব্যক্তির ওপর নয়, এ হামলা অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর হামলা।
নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তাতে আরও বেগবান করতে হলে জনগণ আগামীতে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই আবার দরকার। কারণ এই সরকারই দেশের বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। জঙ্গী উত্থান বন্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দুরদর্শিতার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানসহ সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।