Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এবার ব্যর্থতার প্রতিযোগিতায় বোলাররা!

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : আগের ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হেরেছিল বাংলাদেশ। বোলাররাই বা এই কাজে পিছিয়ে থাকবেন কেন! এবার তাসকিন-মুস্তাফিজ-রুবেলদের তুলোধুনো হতে হলো শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কাছে। নিদাহাস টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২০৭ রানের এভারেস্টসম লক্ষ্য দিয়েছে লঙ্কানরা।
বিশাল এই লক্ষ্যে তামিম-মুশফিকরা কতদুর কি করতে পারবেন তা হয়ত এক্ষণে জেনে গেছেন। কিন্তু বিশাল এই লক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের কি অবস্থা হতে পারে তা কারো অজানা নয়। এটা ঠিক ক্রিকেটে অসম্বব বলে কিছু নেই। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ব্যাটিং দশা বলছে, ‘অসম্ভব’ এসেও হয়ত বাংলাদেশকে জেতাতে পারবে না। টি-২০তে দুইশ করারই রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। গেল মাসেই মিরপুরে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৯৩ রান করেও এই লঙ্কানদের কাছেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
বৃষ্টির বাধায় কলম্বোর আর. প্রেমাদাশ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। দুই দলই মাঠে নামে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে। টস জিতে বল বেছে নিয়ে প্রথম ওভারেই ১৩ রান দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পেসারদের একের পর এক তুলোধুনার হওয়ার পরও স্পিন কেন আনলেন না তা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহই জানেন। পাওয়ার প্লের পরে মিরাজ-নাজমুলের বাউন্ডারিহীন তিন ওভারেই হয়ত বাংলাদেশ দলপতি ব্যাপারটা বুঝেছেন। কিন্তু সাবধানী অথচ আক্রমনাত্বক লঙ্কান ব্যাটিংয়ের সামনে এরপর তারাও হয়ে পড়েন অসহায়। ১৪১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে কুসল মেন্ডিস ফেরার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তুলে নেন টানা তৃতীয় ফিফটি। ৩০ বলে ৫ ছক্কায় ৫৭ রান করে মাহমুদুল্লার বলে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। এর আগে কুসল পেরেরার সঙ্গে গড়েন ৯ ওভারে ৮৫ রানের জুটি। পেরেরাও শেষ ওভারে মুস্তাফিজের বলে থেমেছেন বটে কিন্তু তার আগে সর্বনাশ যা করার করে গেছেন। ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় করে গেছেন ৭৪ রান। পরে উপুল থারাঙ্গার ১৫ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে রানের চূড়ায় ওঠে স্বাগতিকরা।
মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিলেও গুনতে হয় ৪ ওভারে ৪৮ রান। সমান ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য রুবেল। ৩ ওভারে ৪০ রান দেয়া তাসকিনকে তো পরে বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক। সেই হিসেবে স্পিনাররাই ছিলেন সফল। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে ৩১ রান দেন মিরাজ। ২ ওভারে ২০ রান দেয়ায় নাজমুলকে আর বোলিংয়ে আনা হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ