পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পুলিশী আক্রমনে হট্টগোলের মধ্যে পন্ড হয়ে যাওয়ার বিষয়ে দলটিই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে বেআইনিভাবে সমাবেশ করতে যাওয়ায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। গত কালকের (বৃহস্পতিবার) ঘটনার জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোথাও রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করে না। নির্দিষ্ট স্থানে সমাবেশ করা হয়। কিন্তু বিএনপি প্রেস ক্লাবের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবেই। কারণ রাস্তা বন্ধ করে দেয়া বেআইনি। আর পুলিশ কাউকে বেআইনি কাজ করতে দেবে না।
কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশে মামলার আসামিরা উপস্থিত থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তারা যদি পুলিশের সামনে পড়ে, পুলিশ তাদের ছেড়ে দেবে না।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগেও তারা সেখানে সমাবেশ করেছে। অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা পুলিশের। এ ব্যাপারে পুলিশই ভালো জানে। এখানে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নেই।আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পরেই সেটা হবে। শিডিউল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনের এই ব্যাপারে করণীয় নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, সেটা দেখা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে সব দলকে নির্বাচনী কর্মকাÐ চালাতে হবে।
এর আগে সড়কমন্ত্রী ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে সংস্কার কাজ ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি গণ্যমাধ্যমকে জানান, এই সড়ক সংস্কারে ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়া হলেও আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই তা শেষ করা হবে। সারা দেশের সব সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজও বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম হলে বা নিম্নমানের কাজ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সড়কমন্ত্রী। মন্ত্রীর পরিদর্শনকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।