বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ এক মাস ধরে কারাবাসে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে দিয়েও তার মনোবল ভাঙা যায়নি বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতারা। বরং কারাগারে থাকলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল অটুট আছে। গতকাল (বুধবার) বিকেলে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতারা। বেলা সোয়া তিনটার দিকে বিএনপি প্রধানের সাথে দেখা করতে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মীর্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা কারাগারের ভেতরে অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন তারা। এসময় দলের দু’জন স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলার সময় তাকে স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে শক্ত আছেন। কারাগারে থাকলেও তিনি চলমান আন্দোলন সংগ্রামের খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব নেতাকর্মী কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সফল করছে তাদের ব্যাপারে তিনি ওয়াকিবহাল। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলার সময় কারা কর্তৃপক্ষের লোকও পাশে উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য দলের চেয়ারপার্সন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, দেশনেত্রীর সাথে আলাপ করে আমরা এটুকু বুঝতে পেরেছি, তার মনোবল অত্যন্ত উঁচু আছে। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করছেন। এই কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি দেশের জন্যই চিন্তা করছেন। সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি মনে করেন। আমরা মনে করি যে, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে কোনো উস্কানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে দলকে নির্দেশনাও দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হলে তাকে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কারাবাসের একমাসের মাথায় সিনিয়র নেতারা তার সাথে দেখা করার সুযোগ পেলেন। এরআগে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতিমাসহ পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। এরবাইরে আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী গত ১০ ফেব্রুয়ারি খালেদার সাক্ষাৎ পেলেও বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতারা সে সুযোগ পাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।