পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্র মামলায় পলাতক ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এরআগে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা পলাতক আসামিরা হলেন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা গেলো কি না সে বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। এছাড়া মামলার আরেক আসামি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিনে থেকে গতকাল আদালতে হাজির ছিলেন। এরআগে পাঁচ আসমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। ওই অভিযোগপত্রে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, জয় তার সাক্ষীর জবানবন্দিতে বলেন রিজভী আহমেদ সিজার নামে একজন ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে এফবিআই এর এজেন্টের কাছ থেকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ ঘটনায় এফবিআই সিজারসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। আমি ওই মামলায় কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছি। পরে আসামিদের সাজা হবার কথা আমি জানতে পারি। আসামি রিজভী আহমেদ সিজার বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আমাকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার জন্য আমার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এ কারনে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে এককালীন চল্লিশ হাজার ডলার ও মাসিক ত্রিশ হাজার ডলারের বিনিময়ে চুক্তি করে। এ কাজে তাকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান ও বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহযোগিতা করেছে। আমার সঙ্গে একবার এফবিআইয়ের এজেন্টরা দেখা করে এবং আমার বাসায় সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দেয়। আমার তখনকার বাসাটি অনেকে চিনে যাওয়ার কারনে, নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আমার বাসা অন্যত্র পরিবর্তন করি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের নির্দেশদাতা হিসেবে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আর আসামি মোহাম্মদ উলাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে পরামর্শদাতা হিসেবে ওই ষড়যন্ত্রে সহযোগিতার অভিযোগ। এরআগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।