পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মাথাপিছু আয়, বিদ্যুৎ ব্যবহার, রপ্তানি কিংবা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ গেল আড়াই দশকে এমন প্রায় সব অর্থনৈতিক সূচকেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেকদূর এগিয়েছে ভিয়েতনাম। এমনকি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেও শেষ পর্যন্ত ভিয়েতনামে ঘাঁটি গেড়েছে অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান। বিশ্লেষকরা বলছেন, দু’দেশের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার বিপরীত ছবিটাই। দক্ষিণ চীন সাগর পাড়ের দেশ ভিয়েতনাম। যার পূর্ব-দক্ষিণের পুরোটা জুড়েই সমুদ্রের নীল জলরাশির মায়া। আর উত্তরে প্রতাপশালী চীনের সাথে শুধু সীমান্তই নয় দেশটির অর্থনীতিও জড়িয়ে আছে ওতোপ্রতোভাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ৮ বছরে যুদ্ধ শেষে ১৯৭৫ এ প্রায় ৩ লাখ ৩১ হাজার বর্গকিলোমিটারের এক ক্ষতবিক্ষত ভূখন্ডই আজকের সোস্যালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম বিশ্বের অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এমনকি ৯০এর দশকেও দেশটির চেয়ে প্রায় সবক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরে ছবিটা পাল্টেছে বিপরীত সুরে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৯৯১-এ গণতান্ত্রিকভাবে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ভিয়েতনামের কাছাকাছি। এরপরের আড়াই দশকে সমাজতান্ত্রিক এই রাষ্ট্রটির যেখানে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৬৭ গুণ, সেখানে বাংলাদেশ ছুঁতে পারেনি ৪০ বিলিয়নের ঘরও। ওই সময়টাতে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ভিয়েতনামের প্রায় তিনগুণ। আর এখন ভিয়েতনামের বেশি ৭৩০ ডলার।
দুই দেশের পার্থক্য মূলত গড়ে দিয়েছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। একানব্বইয়ে মাত্র সাড়ে ৩৭ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ ভিয়েতনাম নিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ১২ বিলিয়নে। সেখানে বাংলাদেশ ছাড়াতে পারেনি ২ বিলিয়নের ঘরও। ইয়াংওয়ান কিংবা স্যামসাং এর মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও এক সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেও শেষ পর্যন্ত ঘাঁটি গাড়ে ভিয়েতনামে। দুদেশের মধ্যকার ৫শ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যও ভিয়েতনামের পক্ষে। দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করে যত আমদানি তার ৬ গুণেরও বেশি। যেই ছবিটাই ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এবারের সফরে কিছুটা হলেও বদলাতে চায় ঢাকা। প্রত্যাশা নতুন বিনিয়োগেরও। গেল ১ দশকে জ্বালানি খাতে ব্যাপক উন্নয়নের পরেও ভিয়েতনামের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার বাংলাদেশের চেয়ে সাড়ে ৪ গুণের বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।