Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সা¤প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি -ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 সিলেটে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী সা¤প্রদায়িক শক্তির পৃষ্টপোষক বিএনপি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অবশেষে তারা (বিএনপি) ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না। এই হামলাকারী কারা তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে গেছে। এরা সা¤প্রদায়িক অপশক্তির কিলিং গ্রæপের সদস্য। এটা একটা টার্গেট এ্যাটাক এবং এই অপশক্তিকে পৃষ্টপোষকতা করে বিএনপি নামক একটি দল।
৭ মার্চের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে সামনে রেখে গতকাল রবিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সা¤প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্টপোষকতা বন্ধ না করলে জনগণ ভোটে তার জবাব দেবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই দলের মহাসচিব বলে আমরা আড়াল করছি। কি আড়াল করা হয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে এ্যাটাকার গ্রেফতার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তদারকি করছে। মায়ের থেকে ফখরুল সাহেব মাসির দরদ যেন বেশি !
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, আপনার এই বক্তব্য থেকে এটাই আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি। এই সব না করে এই অপশক্তির পৃষ্টপোষকতা বন্ধ করুন। এসব করে ১৪ সালে যে ভুল করেছেন সেই ভুলের মাশুল এখনো আপনাদের গুনতে হচ্ছে। এই অপশক্তিকে মদদ দান যদি অব্যাহত রাখেন, তবে আগামী নির্বাচনে জনগন ব্যালটে সমুচিত জবাব দেবে।
উদ্দেশ্য মূলকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কিছু কিছু গণমাধ্যম মিডিয়া কাভারেজ দিচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার একটি অংশ, প্রকাশ্যেই সরকারকে প্রতিপক্ষ করে একটি দলের পক্ষ হয়ে আধা জল খেয়ে নেমেছে। অধিকাংশ মিডিয়া বলছে, খুলনার জনসভা সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে। বরিশালের জনসভা স্বরনাতিত বড় সমাবেশ, সিলেটের জনসভা সমসাময়িককালে হয়নি। কিন্তু কেউ কেউ সত্যকে বিকৃত করে। মনে হয় যেন তারা দিতে হয় সেজন্য কোন রকমে সাদা মাটা একটা রিপোর্ট দিয়েছে। বিশাল জনসভাকে বিশাল বলতে তাদের লজ্জা হয়।
কাদের বলেন, তারা কারা আমরা জানি। আমি সংবাদ পত্রের সঙ্গে বসেছি। তথ্য মন্ত্রী আমাকে আমন্ত্রন করেছিল। সেখানে আমি বলেছি, আমাদের যেটা প্রাপ্য সেটা দিবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধানকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। বারবার তার সঙ্গে যে আচরণটা করা হচ্ছে এটাকে বস্তুুনিষ্ট আচরণ বলে না। আমি সব মিডিয়াকে বলছি না। কিছু কিছু মিডিয়া, আপনারাও জানেন এরা কারা।
তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি, আমরা মিডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, লড়াই করতে চাই না, ঝগড়া করতে চাই না। গঠনমূলক সমালোচনা আমরা সমর্থন করি। প্রধানমন্ত্রীর প্রাপ্য কাভারেজ দিচ্ছেন না। তারপরও কিন্তু কারো উপর আমরা খর্গ হস্তক্ষেপ করিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, একটি দলের পক্ষে যারা আধা জল খেয়ে নেমেছে তারা বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার নামে সত্যকে বিকৃত করে। এটার নাম সাংবাদিকতা না। আমি আশা করি, সামনে নির্বাচনে আমরা একযোগে কাজ করবো। সমালোচনা যদি গঠনমুলক হয় আমাদের বিবেকই আমাদের পীড়া দেবে। আমরা মেনে নেব। সে সাহস বঙ্গবন্ধু কন্যার আছে।
৭ই মার্চে দোকান পাট অফিস বন্ধ না করার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭ই মার্চ, ১৭ই মার্চ, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর এই দিবস গুলোর আনুষ্ঠানিকতা কি করে অন্য দিন করবো। এটা কমন সেন্সের ব্যপার। এই দিবস গুলোর মূল আনুষ্ঠানিকতা কি অন্য দিন সাঁজে? আসলে যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। তিনি বলেন, তার পরেও আমি বলবো আপনারা যারা অফিস করেন অফিস বন্ধ রাখবেন না। আপনারা যারা মার্কেটে আছেন মার্কেট বন্ধ রাখবেন না। মার্কেট বন্ধ করার যে অপপ্রচারটি হচ্ছে এরকম কোন সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। অফিস বন্ধকরে মার্কেট বন্ধ করে যেতে হবে, সেটা আমরা কিন্তু বলিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাইদ খোকনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ