Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৮, ৬:০২ পিএম

হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

সোমবার (৫ মার্চ) নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টরিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক তথ্য না দিয়ে হজে বিমান ভাড়া তিনগুণ নির্ধারণ করেছে। এর সাথে ধর্মমন্ত্রণালয় এবং হাব একমত নয়। আমরা অবিলম্বে অতিরিক্ত ধার্যকৃত টাকা বাদ দিয়ে প্রকৃত ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্সেরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এতে সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয় তিন লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা। এর সাথে কুরবানি বাবদ ৫০০ রিয়াল বা ১১ হাজার ১৭৫ টাকা নিজে সৌদি নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া ট্রলি ব্যাগ হজযাত্রীকে কিনে নিতে হবে। গত বছর এ খাতে আড়াই হাজার টাকা ধার্য ছিল। বেসরকারি এজেন্সি দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। তবে হাব ঘোষিত মূল্যের চেয়ে কম হতে পারবে না।

হাবের মহাসচিব জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন চললেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আরো সময় বাড়বে বলে তিনি জানান। সর্বনিম্ন এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। বাকি টাকা আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এজেন্সিকে পরিশোধ করতে হবে। এবার হজ এজেন্সিকে পুরো টাকা পরিশোধ না করলে তিনি হজে যেতে পারবেন না। দালালদের কাছে টাকা জমা দিলে তার প্রতারিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এজন্য হজ এজেন্সি দায়ী থাকবে না।

হজে বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে হাব মহাসচিব বলেন, জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি বা ভ্যাট প্রয়োগের অজুহাতে যদি হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে সাধারণ যাত্রী ও ওমরাহযাত্রীদের ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি কেন? বরং ওমরার ক্ষেত্রে ভাড়া আরো ৫০ ডলার কমানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের দাম কিছু বাড়লেও সৌদিতে দাম বাড়েনি। এতে প্রতীয়মান হয়, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া তিনগুন বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

শাহাদাত হোসাইন তসলিম আরো বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা আসা যাওয়ার বর্তমান ভাড়া সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। ওমরাহযাত্রীদের আসা যাওয়ার ভাড়া ৪৯ হাজার থেকে ৫২ হাজার টাকা। হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে যেহেতু বিমানকে এক পথে খালি আসতে হয় সেজন্য হজযাত্রীদেব বিমান ভাড়া সর্বোচ্চ দ্বিগুণ অর্থাৎ ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া প্রায় সারাবছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সাধারণত ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। অথচ হজের সময় প্রায় ১০০ ভাগ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হয়। হজের সময় প্রচার খাতসহ আরো অনেক খাতে বিমানের খরচ কমে যায়। এজন্য হজে বিমান ভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা হতে পারে না।

হাব মহাসচিব শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সে হজযাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানিয়ে থার্ড কেরিয়ার অর্থাৎ জেদ্দাগামী অন্যান্য এয়ারলাইন্সেও হজযাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।

তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, সরকার যদি বিমান ভাড়া কমিয়ে দেয় তাহলে এজেন্সিগুলোও সে পরিমাণ টাকা হজযাত্রীদের কমিয়ে ধার্য করবে।

সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভুঁইয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতি, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ, যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল কবির চৌধুরী সিরু, অর্থ সচিব মাওলানা ফজলুর রহমান, জনসংযোগ সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য তাজুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ, এম এন এইচ খাদেম দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ