Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সরকার গঠনে অচলাবস্থার আভাষ

ইতালিতে ভোটগ্রহণ শুরু : বারলুসকোনি জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সম্ভাবনা

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৮, ১২:৩৩ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রাধান্য দিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ প্রচার-প্রচারণার পর এলো ইতালির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরা হয় স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকাল থেকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচারণার দুই সপ্তাহ আগে থেকে মতামত জরিপ পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়ায় কে বা কারা জয়ী হতে যাছেন সেই সম্পর্কে আভাষ দেওয়াটা জটিল হয়ে পড়েছে। পূর্ববর্তী জরিপ অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির জোট এগিয়ে থাকলেও তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারবে তা বলা যাচ্ছে না। আর একক দল হিসেবে এস্টাবলিশমেন্টবিরোধী অতিবামপন্থী ফাইভ স্টার মুভমেন্ট বা এমফাইভএস এগিয়ে থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। সব মিলে কে বিজয়ী হতে যাছে, কারা আদতে সরকার গঠন করবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে বলা যাছে না বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। এবারের নির্বাচনি প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে অভিবাসী ও অর্থনীতির ইস্যু। ২০১৩ সাল থেকে অবৈধ পথে পাড়ি দিয়ে ৬ লাখ অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছে। অনেক ইতালীয় নাগরিকের কাছে বিষয়টি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। আর রাজনীতিবিদরাও সেই ইস্যুটিকে নির্বাচনি প্রচারণায় কাজে লাগাতে চেয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনির মধ্য ডানপন্থী দল ফোরজা ইটালিয়া আরও দুইটি দলের সঙ্গে জোট গড়েছে। ডানপন্থীদের এবারের প্রচারণার মূল বিষয় ছিল, ৬ লাখ ‘অনিয়মিত' অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো। অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতিকে ‘সামাজিক টাইম বোমা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বারলুসকোনি। এছাড়া কর কমানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়েছে তারা। প্রচারণা চলাকালে উগ্র ডানপন্থী সমর্থকদের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হতেও দেখা গেছে। কর জালিয়াতির অভিযোগ থাকার কারণে আগামী বছর পর্যন্ত সরকারি দফতরের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না ৮১ বছর বেরলুসকোনি। তবে চারবারের এই প্রধানমন্ত্রী দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও তাজানিকে সমর্থন দিয়েছেন। ইতালির নতুন ইলেক্টোরাল আইনে এটিই প্রথম নির্বাচন। এই আইনে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ সমর্থন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল ফাইভ স্টার কোনও দলের সঙ্গে জোট গঠন করেনি। একক দল হিসেবে ফাইভ স্টার এগিয়ে থাকলেও জোট গঠন না করলে তাদেরও সরকার গঠন করার সম্ভাবনা কম। মধ্যম-ডানপন্থি জোটকে নির্বাচনের সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মনে করা হছে। তবে এ জোটও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে আভাস রয়েছে। তাই তাদেরকে প্রতিদ্ব›দ্বী দলের সঙ্গে জোট গড়তে হবে। কিন্তু সব দলের নেতাই এরইমধ্যে প্রতিদ্ব›দ্বী দলের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। সেদিক থেকে রবিবারের নির্বাচনে যদি কোনও দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত না করতে পারে তবে সরকার গঠন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে রয়টার্স। আগামী ২৩ মার্চ নতুন পার্লামেন্ট অধিবেশন না বসা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সেরজিও মাটারেলা আনুষ্ঠানিকভাবে জোট সংক্রান্ত কোনও আলোচনা শুরু করতে পারবেন না। আর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্বগ্রহণের আগে পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই আস্থা ভোটে জয় পেতে হবে। উল্লেখ্য, ইতালির অর্থনীতি আবারও বিস্তৃত হতে শুরু করলেও ১০ বছর ধরে দেশটি বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। এর অর্থনৈতিক সাফল্য এখনও সংকট পূর্ববর্তী অবস্থায় পৌঁছাতে পারেনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য ঝুঁকিতে ছিল। আর একইসময়ে বেকারত্বের হার ছিল ১১ শতাংশ। বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • নাসির ৫ মার্চ, ২০১৮, ৬:৩৫ এএম says : 0
    সারা বিশ্বে এ কি শুরু হলো ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ