পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ দাবি করেছেন যে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ভারতের মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশ চাননি। কিন্তু ভারতের নেতারা দেশের মুসলমান ও শিখদের জন্য সংখ্যালঘুর মর্যাদা মেনে নিতে অস্বীকার করার কারণে ভারত ভাগ হয়।
রোববার জম্মুতে শের-এ-কাশ্মীর ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, জিন্নাহ ভারত ভাগ করতে চাননি। কমিশন বৈঠক করেছিল ও ভারত ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কমিশন বলেছিল যে আমরা মুসলমানদের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব রাখবে। কমিশন বলেছিল যে আমরা সংখ্যালঘু ও শিখের জন্য বিশেষ প্রতিনিধিত্ব রাখব।
ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, জওয়াহরলাল নেহরু, মওলানা আজাদ ও সরদার প্যাটেল কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেন। তখন জিন্নাহ পাকিস্তানের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, জিন্নাহ কমিশনের প্রস্তাবে সম্মত হন, কিন্তু জওয়াহরলাল নেহরু, মওলানা আজাদ ও সরদার প্যাটেল সম্মত হননি। তারা রাজি না হওয়ায় জিন্নাহ পাকিস্তানের দাবি নিয়ে অগ্রসর হন। তারা রাজি হলে ভারত বিভক্ত হত না। তা হলে বাংলাদেশও হত না, পাকিস্তানও হত না, ভারত অখন্ড থাকত।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ধর্মকে রাজনৈতিক ও ভোট লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের নিন্দা করেন। বিভেদ মূলক শক্তির চেষ্টা ও রাজ্যে ঘনিয়ে আসা নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে একক যরিচয়ে বিকশিত হতে হবে ও উন্নতি করতে হবে।
এদিকে পাকিস্তানের সৃষ্টি সম্পর্কে ফারক আবদুল্লাহর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারেের কর্মী , জন অভিযোগ বিষয়ক মস্ত্রী জিতেন্দ্র সিং রোববার ইতিহাস নতুন করে পড়ার জন্য ফারুক আবদুল্লাহকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এও বলেন যে মহাত্মা গান্ধী জিন্নাহকে বলেছিলেন যে তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির দাবি ত্যাগ করলে তাকে (জিন্নাহকে) অবিভক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী করার জন্য কংগ্রেসকে রাজি করাবেন। তবে জিন্নাহ তাতে রাজি হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।