পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করেছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। এটি পার্লামেন্টে অনুমোদন পেলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৩ সালের পরেও ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পাবেন। ৫ মার্চ পার্লামেন্ট অধিবেশনে এই পরিবর্তন আসার কথা।
চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চলতি মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালে। ২০১৩ সাল থেকে টানা দুইবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সংবিধানে পরিবর্তন এলে আবারো ক্ষমতায় আসার সুযোগ তৈরি হবে জিনপিংয়ের।
নব্বইয়ের দশকে পরিবর্তন করা চীনের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারেন। তবে রোববার সংবিধানের এই ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি। রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এ বিষয়ক খবর প্রকাশ করলেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এ প্রস্তাবকে পার্টির ওপর শি জিনপিংয়ের নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার হওয়ার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এই প্রস্তাব নিয়ে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পার্টির অভিবেশনে বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচনা কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর তা যাবে আইনপ্রণেতাদের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রস্তাবটি চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রসে অনুমোদন পেতে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, কমিউনিস্ট পার্টির যে কোনো প্রস্তাব পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া আনুষ্ঠানিকতামাত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৬৪ বছরের শি জিনপিং গত কয়েক বছরে দলের ভেতরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতায় পরিণত হয়েছেন। চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের পর তাকেই চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা মনে করা হচ্ছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্রেও যুক্ত হয়েছে জিনপিংয়ের দর্শন।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর চীনে অর্থনৈতিক সংস্কার, জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন জিনপিং। বিরোধী মত দমনেও তিনি নিয়েছেন কঠোর নীতি। সূত্র: এপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।