মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া শনিবার হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যায়, তবে তারা ‘যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করবে’ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপে যাবে না। ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আগামী মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়া আয়োজনের কথা আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া উপদ্বীপে এর মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়া নিয়মিতই এ ধরনের মহড়া পরিচালনা করে আসছে এবং উত্তর কোরিয়া বরাবরই এটিকে নিজের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা এক নিবন্ধে জানায়, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ জারি রাখা অবস্থায় শেষমেশ যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যায়, তবে উত্তর কোরিয়া নিজস্ব বিপরীত ক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে এর জবাব দেবে এবং এরপর যা কিছু ঘটবে, সেগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী থাকবে। নিবন্ধে আরো বলা হয়, এ মহড়া উপদ্বীপের বিবাদ মীমাংসার উদ্যোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র জানায়, উত্তর কোরিয়া যাতে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করে, সে ব্যাপারে চাপ প্রয়োগের জন্য তারা দেশটির ওপর সর্ববৃহৎ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ আরোপ করতে যাছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘দ্বিতীয় ধাপের’ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি পদক্ষেপগুলো কার্যকর না হয়, তবে সেটি ‘বিশ্বের জন্য অনেক অনেক দুর্ভাগ্যজনক হবে’। উত্তর কোরিয়া দেশটির ওপর ট্রাম্পের একপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে যোগ দিয়ে এ ইছার কথা জানান উত্তর কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেকোনো আলাপের উপসংহার অবশ্যই দেশটির নিউক্লিয়ার কর্মসূচি পরিত্যাগের মাধ্যমে হতে হবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মাধ্যম কেসিএনএর বরাতে জানা যায়, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা সংলাপের জন্য অনুরোধ করব না কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যে সামরিক বিকল্পগুলো দাবি করেছে, সেগুলোও এড়িয়ে যাব না।’ কেসিএনএর বরাতে আরো জানা যায়, ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা এবং বাকি বিশ্ব কোরিয়া উপদ্বীপে যে ধরনের শান্তি কামনা করে, সে অবস্থা হবে, নাকি একটি সংঘাতের অবস্থা বিরাজ করবে, সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।