বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : দীর্ঘ ২৬ বছর সৌদির রিয়াদ বাংলাদেশী দূতাবাসের অবহেলায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ফরিদগঞ্জের মো. মহসিন গাজী। পেটের ভেতর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে জানতে পারেন নিজের পেটের ভেতর রয়েছে অপারেশনের বিভিন্ন উপকরণ। দিনের পর দিন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো সাড়া পাননি তাদের কাছ থেকে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালের শেষের দিকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করাতে গিয়ে সৌদি ডাক্তাদের প্রতারনায় খুঁইয়েছেন কিডনী ও বাল্ব। পেটের ভিতর সুঁই, সুতা, গজ, টিস্যু রেখেই সেলাই সম্পন্ন করে তড়িঘড়ি করে রোগীকে বিদায় দিয়েছেন অসাধু ডাক্তাররা। সুস্থতার জন্য দ্বিতীয় দফায় ভর্তি হয়েছেন সেখানকারই অপর এক হাসপাতালে। এখানেও গজ, টিস্যু পেট থেকে না বের করেই সেলাই করে দেন ডাক্তাররা। সুচিকিৎসা না পেয়ে শরনাপন্ন হয়েছেন সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসের। সহযোগিতা বঞ্চিত হয়ে নিজেই আশ্রয় নিয়েছেন সৌদি আইনের। জিতেছেন মামলা। ক্ষতিপূরণ বাবদ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাওনা হয়েছেন ২ লাখ সৌদি রিয়াল । কিন্তু বিধিবাম, ক্ষতিপূরণের বদলে অন্যায়ের শিকার হয়ে ফিরে এসেছেন দেশে। দেশে এসে শরনাপন্ন হলেও বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে সহযোগিতা করবে বলে আশ^স্থ করেছেন । কিন্তু তারপরও সমাধান জোটেনি। অতঃপর বাধ্য হয়েই ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে ছুটে আসেন। গত বুধবার নিজের দুই ছেলে আনিছুর রহমান, ইয়ামিন হোসেন এবং স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে সাথে নিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে সংবাদ সম্মেলন করে একথা গুলো জানালেন অসহায় মহসিন গাজী।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, বেশ কয়েকবার মামলা করার পর সর্বশেষ ২০১৪ সালে আভা জেলার আমির ফয়সাল বিন খালেদের অফিসে ডাক্তার আলী সেহেরী, ডাক্তার ইয়াইয়া সেহেরী ও ডাক্তার দোহাইয়ান এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা (নং- ১২০১৭) দায়ের করার পর মামলা পুনরায় তদন্তের জন্য খামিস মুসায়েত জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেনারেল সার্জন ডাঃ ওয়াগি গান্নাম, ডাঃ জাওয়েদ মালিক, ডাঃ আহমদ আল কুয়ারনি, ডাঃ তুরকি আল বাসার, এবং ডাঃ আহমেদ কামালের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড মিটিং করে রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয়। পরবর্তীতে রিয়াদের আমির ফয়সাল বিন বান্দর অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী ১ম ও ২য় অপারেশান করা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর তাদেরকে ২ লাখ রিয়াল জরিমানা করে। কিন্তু জরিমানা না দিয়ে তারা জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।