Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ বধিরতায় ভুগছে

শব্দ দূষণ প্রতিরোধ জরুরি : বিশ্ব শ্রবণ দিবসে ডা. কামরুল হাসান খান

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নানা আয়োজনে বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয় এবং র‌্যালি শেষে সকাল শহীদ ডা. মিলন হলে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান। র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. কামরুল হাসান তরফদার, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজি-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজি সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, পরিবেশ অধিপ্তরের পরিচালক ফরিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় নাক কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, প্রফেসর ডা. নাসিমা আখতার, স্টামফোর্ড ইউনির্ভসিটির ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘ভবিষ্যতের বধিরতা না বাড়াতে প্রস্তুতি নিতে হবে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, শ্রবণ ক্ষমতা ধরে রাখতে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টি জরুরি। আর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধান ভ‚মিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। তিনি আরো বলেন, সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচি বিনামূল্যে চালু রয়েছে এবং এক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার জানান, দেশে মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী ধরণের বধির। সম্পূর্ণ বা মারাত্মক বধির হলো ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে জন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, শব্দ দূষণের শুধু মানুষের নয়, প্রাণী ক‚লেরও ক্ষতি হয়। শব্দ দূষণের কারণে ঢাকায় পাখির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকার শহরের আবাসিক এলাকায় রাতের বেলায় ট্রাক জাতীয় যানবাহন চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ঢাকা মহানগরের ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ঢাকায় প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। ঢাকায় হেলথ হ্যাজার্ড একটা বড় সমস্যা। প্রিয় ঢাকাকে যখন বসবাসের অযোগ্য শহর বলা হয় তখন কষ্ট লাগে। তবে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য রাখার এখনো সময় আছে। চিকিৎসক, ট্রাফিক পুলিশ, পরিবেশবিদ, পরিবহন ও শ্রমিক সংঠনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে সামজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ঢাকায় এখনো হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সকল যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার সকল এলাকাতেই সহনীয় মাত্রার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ শব্দ দূষণ রয়েছে। তিনি বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের জরিমানার হার কয়েকগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে শব্দ দূষণের অন্যতম শিকার ট্রাফিক পুলিশরা। শব্দ দূষণের কারণে তারা শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন এবং তাঁদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ তারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও তাঁরা ঘুম কম হওয়া, হৃদরোগ, অসহিষ্ণু মানসিকতা ইত্যাদি সমস্যায়ও আক্রান্ত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শব্দ দূষণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ