Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিজিবি জীবন বাজি রেখে সীমান্ত নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে

সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে কুচকাওয়াজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ঢুকবে মনে করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করেছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সীমান্তেই আছে, তারা জিরো লাইনে নেই। তবে মিয়ানমারের বাহিনী মনে করেছিল সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ঢুকবে। এজন্য তারা সেখানে শক্তি প্রদর্শন করেছিল। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিজিবি অত্যন্ত দক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা জীবন বাজি রেখে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একমাত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ মাঠে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের কুচকাওয়াজ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন। মিয়ানমার সীমান্তে হঠাৎ মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র (বর্ডার গার্ড পুলিশ) তৎপরতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিপি ভেবেছিল সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রবেশ করবে। এজন্য তারা এমন করেছে। তবে আমাদের বিজিবি সতর্ক আছে। কেউ ট্রেসপাস করবে, দেশের ভেতরে এসে কেউ বিশৃঙ্খলা করবে— এটা সম্ভব না।
বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাÐের প্রশংসা করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমাদের বিজিবি অত্যন্ত শক্তিশালী। তারা জীবনবাজি রেখে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এই বাহিনী কারও কাছে মাথানত করে না। এর আগে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন ও বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৯১তম ব্যাচে মোট ৫৪১ জন সৈনিক সাফল্যের সঙ্গে ২৪ সপ্তাহের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ সৈনিক ৪৯৪ জন, নারী সৈনিক ৪৭ জন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবির ক্রমাগত উন্নয়নের ধারা তুলে ধরে বলেন, এ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ব্যাপারে বর্তমানে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন এবং বিওপিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এবং সমগ্র সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আরও স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজিবিকে দক্ষ, চৌকষ ও প্রশিক্ষিত বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি বলিষ্ঠ ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কঠোর প্রশিক্ষণ, সৎচরিত্র, মানসিক দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, শৃঙ্খলাবোধ ও সঠিক নেতৃত্ব। তিনি সৈনিক জীবনে আনুগত্য, শৃঙ্খলা, ধর্মীয় বিশ্বাস, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অনুশীলনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম ও প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন। প্রধান অতিথি ৯১তম ব্যাচের ৫৩৫ জন নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রথম স্থান অর্জনকারী ও সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিক (সিপাহি) মোঃ তুহিন মিয়াকে অভিনন্দন জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ