পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
“ভারতের সাথে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে” ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ বিশিষ্টজনরা। এক স্মারকলিপিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানকে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছেন। একই সাথে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের “আগামী ২০ বছরের মধ্যে দুই বাংলা এক হয়ে যাবে” এই মন্তব্যও প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাসে আরেকটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদলিপি দুটি পাঠিয়েছেন আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম, সাইয়্যিদ মুক্তাদুল হুসাইন, মুহম্মদ আরিফুর রহমান, এড. এস.এম.শফিকুল ইসলাম, এড. মুহম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ওলামা লীগের কাজী মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, এ.বি.এম.রুহুল হাসান, ডা. মুহম্মদ আব্দুল আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ আমিনুল ইসলাম মিয়া প্রমুখ।
দুপুর ১২:২০ ঘটিকায় স্মারকলিপি দুটি ভারতীয় দূতাবাসে প্রদান করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন দূতাবাসের কর্মকর্তা সেলিনা। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য প্রসঙ্গে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলমান সংকট ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই সেখানে কোনো তথাকথিত ছায়াযুদ্ধের অংশ নয়। বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের এমন ভিত্তিহীন, একপেশে ও দায়িত্বহীন মন্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের সাথে ভারতীয় জনগণের দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বের কেবল ক্ষতিই হবে। এমন সব মন্তব্য দেশের ঘাড়ে দোষ চাপানোটা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের সহজ পথ বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে ভারতের কতিপয় রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তার বাংলাদেশকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়ার প্রবণতাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র আর পশ্চিমবঙ্গ আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি প্রদেশ মাত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশকে একত্রিত করার চিন্তাটি অমর্যাদাকর, অপমানজনক ও আপত্তিকর। এটা স্পষ্টভাবে জানা উচিত যে, ভারত বা অন্য কোনো দেশের কাছে বাংলাদেশের জনগণ কোনো অবস্থাতেই তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমর্পণ করতে আগ্রহী নয়, বরং তারা এসব চক্রান্ত শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।