Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাতারে মামুনুলদের বর্ধিত ক্যাম্প

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার : আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে দেশে দুই সপ্তাহ অনুশীলনের পর আজ কাতার যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুই সপ্তাহের এ সফরে লাল-সবুজরা কাতারে অনুশীলনের পাশপাশি দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। এরপর ১৪ মার্চ ঢাকায় ফিরে ১৯ মার্চ জাতীয় দল উড়াল দেবে থাইল্যান্ডে। সেখানে এক সপ্তাহ অনুশীলন করার পাশাপাশি মামুনুলরা দু’টি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে। থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৫ মার্চ লাওসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে জাতীয় দল। ২৭ মার্চ লাওসের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে আসবেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের শিষ্যরা। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড, ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু, গোলরক্ষক কোচ জেসন রয় ব্রাউন, সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি ও ফিটনেস কোচ মারিও।
সম্মেলনেই কাতার সফরের জন্য ২৪ স স্যের জাতীয় দল ঘোষণা করেন ওর্ড। যে দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন, জুয়েল রানা, ইয়াসিন খান, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, তকলিস আহমেদ ও মতিন মিয়াদের মতো খেলোয়াড়দের। জাহিদ, জুয়েল রানা ও ইয়াসিনরা প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও তারা কেউ ক্যাম্পে যোগ দেননি। আর অসুস্থতার কারণে বাদ পড়েছেন মতিন মিয়া, পাশবন মোল্লা ও হেমন্ত। পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী না থাকায় বাদ পড়েছেন মিতুল হোসেন, আবু জাহেদ, জাবেদ খান, ফজলে রাব্বি, তকলিস ও আরিফ। কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড বলেন, ‘লাওস ম্যাচের আগে আমাদের তিন ধাপ পরিকল্পনা ছিল। বিকেএসপির অনুশীলনে ফিটনেস নিয়ে এক ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। কাতারে হবে দ্বিতীয় ধাপ। আর তৃতীয় ধাপটি হবে থাইল্যান্ডে ও আবাহনীর খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে যোগ দেয়ার পর।’
কাতারে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য গেলেও এটাকে পুরোপুরি জাতীয় দল বলা যাচ্ছে না। এএফসি কাপের দুই ম্যাচের পর কোচ ওর্ড আবাহনীর ফুটবলারদের দলে নেবেন। তখন এই দলের অনেকেই বাদ পড়বেন। গত পরশু আবাহনীর বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল জাতীয় দল। সেই ম্যাচ নিয়ে ওর্ডের মন্তব্য, ‘আবাহনী সংগঠিত দল। কয়েক মৌসুম যাবৎ এক হয়ে খেলছে। তাদের বিপক্ষে আমাদের চেষ্টা ছিল দল হয়ে উঠা। আবাহনীতে সবাই অভিজ্ঞ ও পরিপক্ব খেলোয়াড়। আমাদের দলে অধিকাংশই তরুণ।’
৩৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন ওর্ড। ২৪ জন নিয়ে যাচ্ছেন কাতারে। বাকি ১১ জন কি লাওস ম্যাচে সুযোগ পাবেন? এমন প্রশ্নে কোচের কথা, ‘কারো দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। সবারই সুযোগ থাকছে। আবাহনী থেকে ফুটবলার নেয়ার পর আবার কম্বিনেশনের বিবেচনায় অনেকে আসতেও পারে।’
২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের বিপক্ষে হারের পর লাওসের বিপক্ষেই হবে বাংলাদেশের প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

 

বাংলাদেশ স্কোয়াড
খেলোয়াড় : আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান,ফয়সাল মাহমুদ, মামুনুল ইসলাম, জামাল ভূইয়া, মাসুক মিয়া জনি, আব্দুল্লাহ, বিপ্লব আল আহম্মেদ, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইব্রাহিম, জাফর ইকবাল, মাহবুবুর রহমান, রহমত মিয়া,সাদ্দাম হোসেন অ্যানি, স্বাধীন, রহিমউদ্দিন, আলী হোসেন, উত্তম কুমার বণিক, তৌহিদুল সবুজ, মনজুরুর রহমান, নুরুল নাইম ফয়সাল, প্রতীম ও সুশান্ত ত্রিপুরা।
ম্যানেজার : সত্যজিত দাস রুপু, প্রধান কোচ : অ্যান্ড্রু ওর্ড, গোলরক্ষক কোচ : জেসন রয় ব্রাউন, সহকারী কোচ : মাহবুব হোসেন রক্সি, ফিটনেস কোচ : মারিও, ইন্ট্রাপেটার : ঐশিক, ফিজিও : সজীব বখসি ও কিটম্যান : মো: মহসীন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ