Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আ. লীগ সরকারকে হটাতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে ওবায়দুল কাদের

উস্কানিমূলক বক্তব্য না দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোথায় কোথায় এইসব চক্রান্তের বৈঠক চলছে আমরা জানি, পর্যবেক্ষণ করছি; খোঁজ-খবর আমাদের কাছে আছে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শ্লোগান দেয়ার সময় উস্কানিমুলক শ্লোগান দেবেন না। বক্তব্য দেয়ার সময় অশান্তির বক্তব্য দেবেন না। দায়িত্বশীল কথা বলবেন, লাগামহীন কথা বলবেন না।
গতকাল রবিবার বিকালে গুলশান ইয়ুথক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জনসভা সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের ঐক্যর মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য চক্রান্ত চলছে, চক্রান্তের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। আজ দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য চক্রান্ত চলছে। আপনারা ঠান্ডা মাথায় জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের শপথে সামনে এগিয়ে যাবেন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আল্লাহর রহমতে কোন অপশক্তি আমাদের বিজয়কে ঠেকাতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা বিজয়ী হবো এটা যখন প্রতিপক্ষ বুঝতে পেরেছে, ঠিক তখনই তারা চক্রান্তের চোরাগলি পথ বেছে নিয়েছে। এই চক্রান্তের চোরাগলি দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে। কোথায় কোথায় এইসব চক্রান্তের বৈঠক চলছে আমরা জানি, পর্যবেক্ষণ করছি খোঁজ-খবর আমাদের কাছে আছে। তিনি দাবি করেন, বিএনপি নিজেই তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেউ বাধা দিচ্ছে না। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে জানমালের নিরাপত্তায় তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
বিএনপির জনসমর্থন নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি ভেবেছিল রাজপথে লক্ষ লক্ষ জনতার ঢল নামবে। এখন তারা বুঝতে পেরেছে সেই আশায় গুড়েবালি। জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। গত নয় বছরে জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আমাদের বিশ্বাস, মানুষ এখন নির্বাচনমুখি। তারা আন্দোলন চায় না। কাজেই আন্দোলনের ডাক দিয়ে তারা সফল হবে না। ভোটে তারা পরাজিত হবে একথা জেনেই আজকে চক্রান্ত করছে তারা।
পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লেগেই আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশে কোন নেত্রীর কারাদন্ড হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সেটা নিয়ে কটাক্ষ করতে দু:সাহস পায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লেগেই আছে এরা, পাকিস্তানের বন্ধুরা। এরা আমাদের ভালো চায় না।
তিনি বলেন, লেগেই আছে পাকিস্তানের বন্ধুরা। পাকিস্তান আমাদের ভালো চায় না কখনো। উন্নয়নের সব সূচকে আজ তারা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে। হ্যাঁ, তাদের শুধু একটা জিনিস আছে- পরমাণু বোমা। কিন্তু আমাদের কোনো পরমাণু বোমার দরকার নেই। আমাদের জনগণই আমাদের পরমাণু বোমা। সকল অপশক্তিকে এর মাধ্যমে পরাজিত করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময় যতোই এগিয়ে যাচ্ছে, ততোই পরিষ্কার হচ্ছে- আওয়ামী লীগের একমাত্র বিকল্প ও প্রতিপক্ষ হচ্ছে পাকিস্তানের বন্ধুরা। এখন জনগণই ভালো জানেন- তারা ক্ষমতায় পাকিস্তানের শক্তিকে বসাবে নাকি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বসাবে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের আরও বলেন, আমাদের ঠান্ডা মাথায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা কাউকে আক্রমন করবো না। আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেব। আমরা আক্রমন করবো না। কাজেই উস্কানিমূলক কোন বক্তব্য দিবেন না। সারা দেশের নেতাকর্মীরা দায়িত্বশীল হবে এটাই আমরা আশা করি। তিনি বলেন, বেগম জিয়া গ্রেফতারের পর, তার দন্ডপ্রাপ্তির পর বিএনপির কর্মসুচির পর আমরা কোন কর্মসুচি দেইনি। আওয়ামী লীগ নিজের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে, যেতে হবে। পাল্টাপাল্টিতে আমরা নেই। আমরা আমাদের কর্মসুচি পালন করবো। অন্যকে আমাদের উস্কানি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ