Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মোহামেডানের টানা তিন

| প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে গতকাল দারুণ জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে তারা হারায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এছাড়া খেলাঘর ক্রীড়া চক্র ও প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষেও পরে ব্যাট করে জয় পেয়েছে যথাক্রমে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ফতুল্লায় অগ্রনী ব্যাংকের দেয়া ২৫৯ রানের জবাবে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খেলাঘর। তিনটিই নেন শফিউল ইসলাম। অগ্রণীর বোলারদের সফলতা বলতে এটুকুই। বাকি সময়ে তাদেরকে একরাশ হতাশা উপহার দিয়েছেন মহিদুল ইসলাম আঙ্কন ও ভারতীয় রিক্রুট অশোক মানেরিয়া। হার না মানা ২২১ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাছ ছাড়েন দুজন। ১৩১ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ১১৫ রান করেন অঙ্কন। লিস্ট এ ম্যাচে ১৮ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। ১১২ বলে ১১৩ রান করেন মুনেরিয়া। ৫ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এর আগে ‘দশে মিলে’ আড়াইশোর্ধো স্কোর গড়ে অগ্রণী। তাদের দশ ব্যাটসম্যানের আট জনই করেন বিশোর্ধো স্কোর। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন জাহিদ জাভেদ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংককে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে প্রথম দুই ম্যাচে হারের স্বাদ নেয়া মোহামেডান। ২০৫ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে রাকিবুল হাসানকে (৫৯ বলে ৬৪) হারিয়ে বিপাকে পড়ে মোহামেডান। কিন্তু অষ্টম উইকেটে এনামুল হক জুনি. (৩২*) ও তাইজুল ইসলামের (৩৫*) অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে শেষ হাসি হাসে মোহামেডানই। এর আগে বল হাতেও ৩ উইকেট নিয়ে প্রাইমের টপ অর্ডারে ধস নামান তাইজুল।
এরপরও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার ওঠে পরাজিত দলের খেলোয়াড় আল-আমিনের হাতে। তার কল্যাণেই তো ম্যাচটা এমন টান টান উত্তেজনায় রূপ নেয়। তাউজুল-বিপুল শর্মাদের বোলিং তোপে যখন প্রাইমের ইনিংসের ভগ্ন দশা তখন এক প্রান্ত আগলে ১১০ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন আল-আমিন। ৩৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক। সেই দলের স্কোর ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২৫৯। এজন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্বের দাবিদার তো অল-আমিনই। আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। আরিফুল করেন ৮৭ রান। এছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন কেবল দোলোয়ার হোসেন (২৫)। তাদের পাশের মাঠে খেলাঘরকে ৬ উইকেটে হারায় শাইনপুকুর। টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট তালিকাতেও তারা উঠে এসেছে দুইয়ে। সব মিলে ৫ ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়। শাইনপুকুরের জয়ের ভীত গড়ে দেন তিন বোলার শুভাগত হোম, সুজন হাওলাদার ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র। যার কারণে ৯ উইকেটে ২৩২ রানে আটকে যায় খেলাঘরের ইনিংস। আফিফ হোসেনের অপরাজিত ৬৭ ও তৌহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে তা সহজেই পেরিয়ে যায় শাইনপুকুর। বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন দলপতি শুভাগত হোম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর

অগ্রণী ব্যাংক-খেলাঘর, ফতুল্লা
অগ্রণী ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২৫৯/৮ (আজমির ২৫, সৌম্য ২৪, শাহরিয়ার ২৯, রাফাতুল্লাহ ২৮, জাভেদ ৫৪, রাজ্জাক ৩০; মাহমুদ ১/৫৪, সাদ্দাম ১/৫৫, মাসুম ২/৩০, রবি ২/১৯, রাফসান ২/৩৫)।
খেলাঘর : ৪৭.৪ ওভারে ২৬১/৩ (মাহিদুল ১১৫*, মেনারিয়া ১১৩*; শফিউল ৩/৩৩)।
ফল : খেলাঘর ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (খেলাঘর)।

প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান, বিকেএসপি ৩
প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২৫৯/৯ (আল-আমিন ১১০, আরিফুল ৮৭, দোলোয়ার ২৫; তাইজুল ৩/৫৩, বিপুল ২/৪৩, অনিক ২/৪৭)।
মোহামেডান : ৪৮.৫ ওভারে ২৬০/৭ (রনি ৬০, রাকিবুল ৬৪, এনামুল জুনি. ৩২*, তাইজুল ৩৫*; রুবেল ২/৪১, দোলেয়ার ২/৪৯)।
ফল : মোহামেডান ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আল-আমিন (প্রাইম ব্যাংক)।

খেলাঘর-শাইনপুকুর, বিকেএসপি ৪
খেলাঘর : ৫০ ওভারে ২৩২/৯ (আকবর ৭১, মাহমুদুল ৫২, আবুল হাসান ৪৭*; সুজন ২/৩৫, শুভাগত ৩/৩৪, নাঈম জুনি. ২/৩৩)।
শাইনপুকুর : ৪২.৩ ওভারে ২৩৩/৪ (সাদমান ৩৭, কাউল ৩৪, হৃদয় ৬৩, আফিফ ৬৭*; শুভাগত ৩০*; আবুল হাসান ১/২৯, মাহমুদুল ১/৩০)।
ফল : শাইনপুকুর ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শুভাগত হোম (শাইনপুকুর)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ