পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অন্যায় করলেও শুধু ভোটের স্বার্থে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে জেলে পাঠানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দাবি করেন বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা জেলের বাইরে থাকলে তাদের মিথ্যাচারের জন্য দলটির (বিএনপি) ভোট কমবে। আওয়ামী লীগ সংকট মুক্ত নয় দাবি করে কাদের বলেন, ১/১১ এ আওয়ামী লীগ আপোষ করেনি বলেই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়েছিল জেল থেকে মুক্তি দিতে। সু-সময় আমাদের জীবনে খুব বেশি সময়ের জন্য আসেনি। ক্ষমতায় থেকেও আমরা যে সু-সময়ে আছি এ কথা বলা যাবে না। এখনো মাঝে মাঝে দুস্বপ্ন দেখি। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিতে দুই-তিনটা প্যাথলজিক্যাল লায়ার আছে। এরা ঘরে থাকে, ঘরে বসে বসে ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে। তিনি বলেন, দেখুন তারা বলে দেশে গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রের স্বাধীনতা যদি না থাকতো, মিডিয়ার স্বাধীনতা যদি না থাকতো তবে ফখরুল, মওদুদ, রিজভীরা আজকে যেসব গালিগালাজ করছে, আদালতের বিচারককে প্রতারক বলে; এরপরেও তারা ঘরে আছে। তাদের কেউ কিছু বলছে না।
কাদের বলেন, আমরাও বলছি, ওরা যত বেশি কথা বলবে বিএনপির তত বেশি ভোট কমবে। মওদুদ আহমেদ ও রিজভী; এই দুইটা যত বেশি কথা বলবে বিএনপির ভোট তত বেশি কমবে। এ জন্য আমরা বলি, এরা অন্যায় করুক, অপরাধ করুক, যত বেশি বাজে কথা বলুক; এদরকে গ্রেফতার করার দরকার নেই। এরা বাইরেই থাক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা বাইরে থাকলে আওয়মী লীগের জন্য ভালো। এদের বাজে বাজে কথাগুলো জনগণ থেকে বিএনপিকে সরিয়ে দিচ্ছে। আর বিএনপির বড়বড় কথার জবাব দিব জনগনের শক্তি দিয়ে।
আওয়ামী লীগ সংকট মুক্ত নয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো আমরা যে সংকট মুক্ত সে কথা দাবি করা যাবে না। এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শক্তি হচ্ছে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার সময়ে দেশের উন্নয়ন ও তার বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশের জনগণ এতটাই খুশি যে বাংলাদেশের জনগণ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
সংকটের কারণ ব্যাখা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে কারণে আজকে জঙ্গিবাদী শক্তি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। তাদের যে স্বক্রিয় উত্থান সেটা আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আমাদের পুলিশ, র্যাব আমাদের সেনাবাহিনী তাদের বিরোচিত বলিষ্ট ভুমিকার কারণে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠি অনেকটাই আগের চেয়ে দূর্বল। কিন্তু তারা একবারেই তাদের পথ থেকে সরে গেছে এই কথাটা মনে করার কারণ নেই। আজকে এই শক্তি এই মূহুর্তে মনে হচ্ছে তারা একবারে নিষ্ক্রিয় কিন্তু বাস্তবে আমার কাছে প্রতি মূহুর্তে মনে হয় এই জঙ্গিবাদী গোষ্ঠি তলে তলে আরও ভয়াবহ কোন আক্রমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা এটা আজকেও আমাদের ভাবতে হবে।
‘জঙ্গিবাদী গোষ্ঠির পৃষ্টপোষক বিএনপি’ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে খোলামেলা রাজনীতিতে যারা বিরোধিতা করছে এই অপশক্তি তাদেরই বন্ধু। এই অপশক্তি তাদেরই দোসর। এই অপশক্তিকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে বাংলাদেশে যে দলটি আজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে।
কাদের বলেন, এমন কোন ইতিহাস নেই স্বাধীন বাংলাদেশে বিচার বিভাগ যেখানে স্বাধীন, সেখানে বিচার বিভাগের একটি রায়কে কেন্দ্র করে যেভাবে তারা তান্ডব চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের দুতাবাসে পর্যন্ত তারা হামলা চালিয়েছে।
বিএনপি শান্তি পূর্ণ আন্দোলন না অশান্তির ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেই দল হাই কোর্টের সামনে প্রীজন ভ্যানে হামলা করেছে, তারা যখন বলে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এটা কি কারো বিশ্বাস হয়? এই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে? তিনি বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) আগের চেয়ে সতর্ক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও আগের চেয়ে তৎপর। যেই কারণে এই অপশক্তি সাহস পাচ্ছে না। ওই হাইকোর্টের সামনে ন্যাক্কারজনক ঘটানোর পূনরাবৃত্তির সাহস তাদের নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জন্য তারা কৌশল নিয়েছে শান্তি পূর্ণ আন্দোলন। এটা কি শান্তি পূর্ণ আন্দোলন? রাজনৈতিকভাবে বহুরূপী নেতা মওদুদ আহমেদ শান্তি পূর্ণ আন্দোলন না অশান্তির ক্ষেত্র সৃষ্টি করছেন? অশান্তির পথে যাবেন এটাই আপনাদের চরিত্র। শান্তির ললিত বানী শুনিয়ে জনগনের সহানুভুতি পেতে চাচ্ছেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, মওদুদ আহমেদ বলেন, বেগম জিয়া জেলে থাকলে নাকি বিএনপির দশ লাখ ভোট বাড়ে, আর আওয়ামী লীগের দশ লাখ ভোট কমবে। শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌছেছেন। তার ধারে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা বিএনপির নেই। দেখুন, দুর্নীতিবাজদের পক্ষে বাংলাদেশের জনগণ যাবে না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিদিন দশ লাখ করে ভোট বাড়ছে, আর দুর্নীতির জন্য বিএনপির দশ লাখ ভোট কমছে। দুর্নীতিবাজদের পক্ষে দেশের লোক থাকে না।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।