রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অবকাঠামো সঙ্কটে কাক্সিক্ষত শিক্ষা ব্যাহত
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান: আশাশুনি উপজেলায় শিশুশিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান নয়, বরং সার্বিক মান উন্নয়নে ব্যাপক প্রতিযোগিতা ও চিন্তাভাবনা কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম গ্রহণের পরও অবকাঠামোগত সমস্যাসহ বেশকিছু জটিলতা আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে বিপত্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে আছে। উপজেলা শিক্ষা দফতর সরকারি কারিকুলামের পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সফলতার জন্য ক্লাস ওয়ারি সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ে অনেক কিছুর অভাবে তাদের চলার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা লেগে আছে। ১৯২৯ কসালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিতে ক্লাসরুম সঙ্কট ও জরাজীর্ণতা শিক্ষার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে তুলেছে। ১৯৯০-৯১ সালে স্কুলের চারকক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চালের টিন ছিদ্র ও মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ক্লাস নেয়া বন্ধ হয়ে যায়। দেয়াল ও পিলার খসে পড়ে আলগা হয়ে গেছে। ভবনটি এতটা নিচু যে, সামান্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
২০০৮-৯ সালে পিডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় দুইকক্ষ বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং করা হয়েছে। যেখানে একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে ক্লাস পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মানসম্মত শিশু শিক্ষার জন্য এই স্কুলের ভগ্নদশা ভবনটি অতিদ্রæত অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আসবাবপত্রের অভাব, মাঠে মাটি ভরাট করা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করাসহ নানাবিধ প্রয়োজন রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে এসএমসিসহ সব কমিটি ও অভিভাবকদের নিয়ে উন্নয়নের জন্য মতবিনিময়, লেখাপড়ার উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক সংস্থান সহযোগিতা আদায় করে নিয়ে আংশিক প্রাচীর নির্মাণ, মিনিপার্ক, বালক-বালিকাদের জন্য পৃথক শৌচাগার, নলক‚প স্থাপন, ফুলবাগান তৈরি, শিক্ষক মিলনায়তনে চেয়ার-টেবিল, লাইব্রেরি বইসহ আসবাবপত্র তৈরি, শিশুবান্ধব স্কুলের আওতায় স্কুলকে সুযোগ করিয়ে নিয়ে শিক্ষা উপযোগী উপকরণ সামগ্রী শ্রেণিকক্ষে সুসজ্জিত করার গৌরবান্বিত কাজ করানো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সব পরীক্ষার ফলাফলেও উন্নতি সাধিত হয়েছে। সমাপনী পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ পাস, এ+ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত সম্ভব হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি উপজেলা পর্যায়ে ২০১৪ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে গড়ে তুলতে তিনি ও এসএমসি সভাপতি স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক পুরস্কার প্রদান, যে সব ছাত্রছাত্রী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত এবং এ+ প্রাপ্ত হবে, তাদের আত্তাপ উদ্দীন স্বর্ণপদক ও আত্তাপ উদ্দিন রৌপ্যপদক এবং ২০১৭ সাল থেকে যে সব ছাত্রছাত্রী বৃত্তিপ্রাপ্ত হবে, তাদের ‘সাকিলা খানম ক্রেস্ট’ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। স্কুলে সব জাতীয় অনুষ্ঠান, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সঙ্গীত অনুশীলন, উপজেলা ও জেলাপর্যায়ে উপকরণ মেলায় অংশগ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি শোভনালী ইউনিয়নের সরকারি বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এভাবে বিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিতে পারলে উপজেলার মধ্যে একটি মডেল বিদ্যালয় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে প্রধান শিক্ষক সাকিলা খানম ও এসএমসি সদস্যবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।