মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গত বছরেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ওয়ান্না ক্রাই। যার মাধ্যমে হ্যাক করে পণ চাওয়া হচ্ছিল। আর তার সূত্রপাত ছিল উত্তর কোরিয়ায়। এবার আরও একবার বড়সড় হ্যাকিং-এর জাল বিস্তার করতে চলেছে পিয়ংইয়ং। ইতিমধ্যেই তা প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার এক সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ফায়ার আই সাবধানবাণী দিয়ে জানিয়েছে, গোটা বিশ্ব কিম জং উনের সেই সাইবার হামলার শিকার হতে পারে। যদিও উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে এই দেশ সাইবার অ্যাটাকের প্রযুক্তি তৈরি বিশেষ মন দিয়েছে। একেবারে হঠাৎ করে হামলা চালাতে পারে তারা। প্রচুর টাকা খরচ করছে তার জন্য। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনামসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ধরনের হামলার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর রেকর্ডেড ফিউচার নামে এক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিল, বিদেশে বসেই হ্যাকিং করছে পিয়ংইয়ং। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। বিশেষত ভারত, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেপাল, কেনিয়া, মোজাম্বিক কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মত দেশে এদের উপস্থিতি রয়েছে বলে মনে করা হয়। গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব সাইবার অ্যাটাক হয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখতে গিয়েই গোয়েন্দাদের হাতে এই তথ্য এসেছে। উত্তর কোরিয়ার নামে যে সমস্ত সাইবার অ্যাটাক হয়েছে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ ভারত থেকেই হয়। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যেহেতু সমগ্র বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর কোরিয়ার শিক্ষার্থী রয়েছে। ফলে এই সব শিক্ষার্থীর ব্যবহার করেই সাইবার অ্যাটাক চালাচ্ছে তারা। কারণ হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি দেখে বিশেষজ্ঞদের এমনই মনে হয়েছে। রিপোর্টে আশঙ্কা করে বলা হয়েছে, ভারতেও উত্তর কোরিয়া থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেই এমন কাজ চালানো হচ্ছে। যদিও রিপোর্টে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। পুরোটাই আশঙ্কার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।