পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালদ্বীপে চলমান সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রচ্ছন্ন শক্তির লড়াই। এরই অংশ হিসেবে চীন পূর্ব ভারত মহাসাগরে ১১টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। চীনের একটি ওয়েবসাইট এই মর্মে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, চলতি মাসের গোড়ার দিকে যুদ্ধজাহাজের এই বিশাল বহরটি পাঠিয়েছে চীন। এই বহরটিতে বেশ কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার, ৩০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার একটি সুবিশাল উভচর যুদ্ধজাহাজ এবং তিনটি সাপোর্ট ট্যাঙ্কার রয়েছে।
এ বিষয়ে চীনের গণমুক্তি ফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মি শুক্রবার তাদের টুইটার-সদৃশ অফিসিয়াল ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে (ঙভভরপরধষ ঞরিঃঃবৎ-ষরশব ডবরনড় ধপপড়ঁহঃ) বেশ কিছু ছবি এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, তাদের এই যুদ্ধজাহাজগুলো এখন পূর্ব ভারত মহাসাগরে উদ্ধার অভিযানের মহড়া শুরু করেছে।
ভারত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন গাইয়ুমের বিরোধী শিবিরের পক্ষে আর চীন গাইয়ুমের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম এরই মধ্যে চীনে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ মহাপরিকল্পনায় যুক্ত হওয়ার জন্য চুক্তি করেছেন। চীন ৪ লাখ লোকের সার্কভুক্ত খুদে দ্বীপদেশটিতে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগে হাত দিয়েছে।
এ অবস্থায় নাখোশ নয়াদিল্লি মালদ্বীপে চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতিকে ভারতের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বর্ণনা করে আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু মালদ্বীপ সরকার ভারতের কথায় কান না দিয়ে চীনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছে। এ অবস্থায় মালদ্বীপ সঙ্কট তার নিজের সীমানা ছাড়িয়ে বহুদূর বিস্তৃত হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের অবস্থানের পক্ষে।
এরই মধ্যে মালদ্বীপে কোনো রকম সামরিক ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে চীন পরোক্ষভাবে ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। চীনের গণমাধ্যমগুলো এই হুঁশিয়ারির উল্লেখ করে বলেছে, এরকম কিছু হলে চীন উচিত জবাব দেবে। ১১টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে চীন সেকথারই প্রমাণ দিল। তবে যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠাবার আগে চীন তার নাগরিকদের রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসান না হওয়া পর্যন্ত মালদ্বীপ ভ্রমণ এড়িয়ে যেতে বলেছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা চীনের একসঙ্গে এতোগুলো যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু তারা এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি। চীনা যুদ্ধজাহাজের এই বহর কতদিন সেখানে থাকবে সেটাও স্পষ্ট নয়। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।