নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে আবাহনী লিমিটেড। এনামুল হক ও সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির উপর ভর করে আসরে চার ম্যাচে শতভাগ জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসজয়ী লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়েন ওপেনার আব্দুল মাজিদ। বাকিরা ছোট ছোট অবদান রাখলেও কেউই ত্রিশ পেরুতে পারেননি। কিন্তু ¯্রােতের বিপরীতে ১১৪ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মজিদ। যে কারণে ৮ উইকেটে ২৪৮ রানের মাঝারি মানের সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ। ২৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হেনে রানের রাশ টেনে ধরেন মেহেদূ হাসান মিরাজ। মাঝের সারির ৩ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে রান নিয়ন্ত্রণে রাখেন তাসকিন আহমেদও।
কিন্তু আবাহনীর দুই ওপেনার এনামুল ও সাইফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাঝারি সংগ্রহটাও হয়ে পড়ে মামুলি। দুজনে মিলে মাত্র ২৬.১ ওভারে গড়েন ১৪৩ রানের ওপেনিং জুটি। দুজনে আউটও হন প্রায় একই ইনিংস খেলে, যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৮ রান। এরপর টপ ও মিডিল অর্ডারদের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ৮২ বলে ১০চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রান করা সাইফ হন ম্যাচ সেরা। হার দিয়ে আসর শুরু করা রূপগঞ্জ টানা দুই জয়ের পর আবারো হারের স্বাদ পেল।
পাশের মাঠেই ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চার ম্যাচে তৃতীয় জয় তুলে নেয় প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা আবাহনীর পরেই তাদের অবস্থান। দোলেশ্বরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১৪ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন মিজানুর রহমান। দোলেশ্বরের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রায়ান টেন ডেসকাট ও ফজল মাহমুদ। ৮ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। পরে ব্যাট হাতেও সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন ফজল। বাকি টপ অর্ডঅররাও ছিল দায়ীত্বশীল। ফলে ১৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দোলেশ্বর।
ফতুল্লায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রপ ক্রিকেটার্সকে ৫৫ রানে হারিয়ে আসরের প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে কলাবাগান ক্রিড়া চক্র। গাজী গ্রæপেরও চার ম্যাচে জয় মাত্র একটি। এদিন ইমরুল কায়েসের ৭৪ রানের দারুণ ইনিংসের পরও কলাবাগানের ছুড়ে দেয়া ২৩৩ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি গাজী। ভালো শুরু করেও বাকিদের কেউই ত্রিশোর্ধো ইনিংস খেলতে পারিনি। ৪ উইকেট নিয়ে গাজীর কাজটা কঠিন করে তোলেন মিডিয়াম পেসার আকবর-উর-রহমান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুটি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার সঞ্জিত শাহা ও মাহমুদুল হাসানও। এর আগে ব্যাট হাতেও সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন আকবর। ১১১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৮০ রান। ম্যাচ সেরা বেছে নিতে তাই একটুও বেগ পেতে হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রূপগঞ্জ-আবাহনী, বিকেএসপি ৩
রূপগঞ্জ : ৫০ ওভারে ২৪৭/৮ (মজিদ ৮৯, মোশাররফ ২৯, নাজমুল ২৯; তাসকিন ৩/৬১, সানজামুল ২/২৭, মিরাজ ২/২৫)।
আবাহনী : ৪৮ ওভারে ২৫৩/৫ (এনামুল ৭৭, সাইফ ৭৮, নাসির ৩৪, মোসাদ্দেক ১৪*, মিরাজ ২১*; আসিফ ১/৪৯, মোশাররফ ২/৪১, আশিক ১/২৩)।
ফল : আবাহনী ৫ উইকেট জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সাইফ হাসান (আবাহনী)
ব্রাদার্স-দোলেশ্বর, বিকেএসপি ৪
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ৪৬.৫ ওভারে ২১৪ (মিজানুর ৭১, মাইশুকুর ২৮, ইয়াসির ৪৪; রেজা ২/২৬, ডেসকাটে ৩/৩৮, ফজল ৩/৪৯)।
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৭.৫ ২১৫/৪ (ইমতিয়াজ ৩৯, লিটন ৪৩, মাহমুদ ৭৩, মার্শাল ৪৪; নিহাদ ১/৩৯, কাপালী ৩/৪৭)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ফজলে মাহমুদ (প্রাইম দোলেশ্বর)।
কলাবাগান-গাজী গ্রপ, ফতুল্লা
কলাবাগান : ৫০ ওভারে ২৩২/৭ (আকবর ৮০, তাইবুর ৫০, মাহমুদুল ৩৪; রাব্বি ২/৫৭, ডলার ২/৩৬, ভাটিয়া ২/৩৫)।
গাজী গ্রæপ : ৪৫.১ ওভারে ১৭৭ (ইমরুল ৭৪, নুরুজ্জামান ২৯; আকবর ৪/৩৫, সঞ্জিত ২/৩৪, মাহমুদুল ২/২৯)।
ফল : কলাবাগান ৫৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আকবর-উর-রহমান (কলাবাগান)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।