Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কান্নায় শেষ জাতীয় বক্সিং

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : উত্তেজনা, হাতাহাতি ও বক্সারদের কান্নায় শেষ হলো জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ। গতকাল পল্টন ময়দান সংলগ্ন মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মহিলায় আনসারের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়ে পর্দা নামে এ আসরের। পুরুষদের নয় ইভেন্টের মধ্যে ছয়টিতে স্বর্ণপদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় সেনাবাহিনী। দু’টি স্বর্ণ জিতে রানার্সআপের খেতাব জিতে নেয় আনসার ও ভিডিপি এবং একটি স্বর্ণপদক জয় করে তৃতীয়স্থান পায় ঝালকাঠির রমজানকাঠি কারিগরী ও কৃষি কলেজ। অন্যদিকে মহিলা বিভাগে চারটি ইভেন্টের মধ্যে তিনটিতেই স্বর্ণ জিতে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। বাকি স্বর্ণপদকটি জিতে রানার্সআপ হয় যশোর। তবে প্রতিযোগিতার শেষ দু’দিনে আনসারের তিন বক্সারের কান্নাই প্রশ্নবিদ্ধ করছে জাজদের বিচার ক্ষমতাকে। আগের দিন আনসারের দু’বক্সারকে জয়বঞ্চিত করার অভিযোগে হাতাহাতিতো ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর কাল ভালো খেলেও সেই জাজদের কারণে কাঁদতে হয়েছে আনসারের বক্সার রাকিব শেখকে। ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন রমজানকাঠি কারিগরী ও কৃষি কলেজের লন্ডন প্রবাসী আল সাফোয়ান উদ্দিন। দুর্দান্ত পাঞ্চিংয়ে রাকিব সবার মন কাড়লেও শেষ পর্যন্ত জাজদের সিদ্ধান্ত যায় সাফোয়ানের পক্ষে। এ নিয়ে খেলা শেষে কেঁদে বুক ভাসান রাকিব। এমনকি রিং থেকে নীচে নেমেও কেঁদেছেন তিনি। কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বটে, কিন্তু তা ছিল সাময়ীক। এ প্রসঙ্গে আনসারের ক্রীড়া অফিসার রায়হান ফকির বলেন, ‘এবারের জাতীয় বক্সিংয়ে আমাদের তিনটি নিশ্চিত স্বর্ণ কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগও করেছি ফেডারেশনের কাছে। কিন্তু এখনো কোন প্রতিকার পাইনি।’ বক্সার রাকিবের কথা, ‘আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। জাজদের এমন সিদ্ধাšেরÍ আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ সমাপণী দিনে খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বক্সিং ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় পুলিশের ডিআইজি ও বক্সিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শেখ মারুফ হাসান, সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খান ও সহযোগী পৃষ্ঠপোষক মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কাজী মসিহুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এবারের জাতীয় বক্সিয়ের পুরুষ বিভাগে নয় ও মহিলা বিভাগে চারটি ওজন শ্রেণীতে মোট ২৬ জন বক্সার ফাইনাল রাউন্ডে খেলেন। পুরুষ বিভাগে স্বর্ণজয়ীরা হলেন- ৪৯ কেজিতে গ্রেগরী হাজদা, ৫২ কেজিতে সোহেল চাকমা, ৬৫ কেজিতে খোরশেদ আলম টিপু, ৬৪ কেজিতে মো: আল-আমিন, ৬৯ কেজিতে আবদুর রহিম, ৭৫ কেজিতে মো: আরিফ হোসেন (সেনাবাহিনী), ৮১ কেজিতে মো: সুরুজ আলী, ৯১ কেজিতে জুয়েল আহমেদ জনি (বাংলাদেশ আনসার) ও ৬০ কেজিতে ঝালকাঠির আল সাফোয়ান উদ্দিন। মহিলা বিভাগে স্বর্ণজয়ীরা হলেন- ৪৯ কেজিতে সাহারা ইয়াসমিন সীমা, ৫২ কেজিতে ফারজানা যোহরা সুইটি, ৬০ কেজিতে সাকী আক্তার(বাংলাদেশ আনসার) ও ৫৬ কেজিতে যশোর জেলার উম্মে শামীমা আক্তার।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ