পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমার সরকারের দমনপীড়নে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ফুটবল জগতের সম্রাট সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শিশুদের জন্য মন কাঁদছে চার সন্তানের জনক রিয়াল মাদ্রিদের এই পর্তুগিজ আইকনের। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার। একটিতে শোভা পাচ্ছে চার সন্তান দ্বারা বেষ্টিত সিআর সেভেন। অন্যটিতে আশ্রয়শিবিরে খালি পায়ে শিশু কোলে দাঁড়িয়ে এক শরণার্থী পুরুষ।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন ৩৩ বছরে পা রাখা রোনালদো বলেন, ‘এক পৃথিবীতে আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের ভালোভাসি। প্লিজ হেল্প।’ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে বিশ্ববাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছেন রোনালদো। বরাবরই শিশুদের জন্য উদারতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি। সেবা ও দাতব্যমূলক কাজে সরব থাকেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন শিশুদের জন্যও আওয়াজ তুলেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান শেয়ার করলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনে মানবিক বিপর্যয় তাকে কতটা পীড়া দিচ্ছে তা সোস্যাল মিডিয়া পোস্টেই স্পষ্ট।
জাতিসংঘের চোখে বিশ্বের অন্যতম অত্যাচারিত নিগৃহীত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মিয়ানমারে বহু বছর ধরেই উপেক্ষিত হয়ে আসছে এই জনগোষ্ঠী। সে দেশের সরকার দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। পাচ্ছে না নাগরিকত্বের সুবিধা এবং অধিকার।
রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের অমানবিক নির্যাতনের মুখে লাখে-লাখে রোহিঙ্গা মুসলিম বাড়িঘর ফেলে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিদেশী দেশ বাংলাদেশে। সা¤প্রতিক সময়ে তা চরম আকার ধারণ করেছে। প্রায় ৭ লাখের বেশি শরণার্থী নাফ নদী পাড় হয়ে টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে চলে আসে। যাদের অধিকাংশেই নারী, শিশু, বৃদ্ধ।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আশ্রয়শিবিরে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণসামগ্রী আসছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর চাহিদা তা কতটা মেটাতে পারবে? রোনালদো হয়তো সেটিই আঁচ করতে পেরেছেন! শিশুদের জন্য যে তার বড্ড মন কাঁদে। এ জন্য সবাইকে রোহিঙ্গা শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।