Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের সামরিক শক্তি শীঘ্রই প্রায় সব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে উঠতে পারে

শীর্ষ মার্কিন অ্যাডমিরালের মত

| প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


টাইমস অব ইন্ডিয়া : চীনের সামরিক শক্তি এমন গতিতে বাড়ছে যে শীঘ্রই সে প্রায় সকল ক্ষেত্রে আমেরিকার সামরিক শক্তির প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে উঠতে পারে। একজন শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বুধবার এ কথা বলেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিশাল প্যাসিফিক কমান্ডের (প্যাকম) প্রধান অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস আইন প্রণেতাদের হুঁশিয়ার করে দেন যে তাদের অবশ্যই বেইজিংয়ের প্রচলিত সম্পদ বিনিয়োগের পাশাপাশি তার হাইপারসনিক মিসাইল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মত প্রযুক্তির নতুন উন্নয়নের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে তিনি বলেন, চীনের বিশাল সামরিক শক্তি শীঘ্রই প্রায় সকল ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তিনি বলেন, চীনের গুরুত¦পূর্ণ অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন, পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বমান তৈরি এবং জিবুতিতে প্রথম বিদেশী নৌবন্দরসহ চীনা নৌবাহিনীর ক্রমবর্ধমান আকার ও সক্ষমতা। অ্যাডমিরাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি গতি বজায় রাখতে না পারে , তাহলে ভবিষ্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে প্রতিযোগিতার জন্য প্যাকমকে সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবর) উদ্যোগ যেমন দেখানো হচ্ছে তেমন ফলপ্রদ নয়। আসলে সকল বৈশি^ক কেন্দ্রগুলোই বর্তমানে এর চাপের অধীনে রয়েছে।
হ্যারি হ্যারিস বলেন, চীনের নেয়া ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি কিছু। এটি হচ্ছে একটি সমন্বিত, কৌশলগত প্রচেষ্টা যা দিয়ে চীন পা রাখার জায়গা পেতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র ও অংশীদারদের বিতাড়িত করতে চায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি বুঝতে হলে চীন যে সব ঘাঁটি ও স্থানগুলোর উপর গুরুত¦ আরোপ করছে সেদিকে দেখতে হবে। চীন আজ এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যে তারা হরমুজ প্রণালি, এডেন উপসাগর, লোহিত সাগর যার অর্থ সুয়েজ খাল এবং আমাদের গোলার্ধে পানামা খালে জাহাজ চলাচলে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অ্যাডমিরাল হ্যারিস বলেন, চ‚ড়ান্ত ভাবে মালাক্কা প্রণালিসহ এ সব বৈশি^ক কেন্দ্রস্থলগুলো চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগের চাপের অধীনে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত প্রথম দেশ যে ওবরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যার একটি অংশ পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে গেছে। ভারত বলেছে যে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ভারতের সার্বভৌমত¦ লংঘন
করেছে। গত বছর ভারত চীনের ওবর শীর্ষ বৈঠক বর্জন করে। ভারতের আপত্তির প্রেক্ষিতে যুক্রাষ্ট্রসহ বহু দেশ প্রকাশ্যে ওবরের বিরোধিতা করছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প নামে আখ্যায়িত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড উদ্যোগে এশিয়ার দেশগুলো, আফ্রিকা,চীন ও ইউরোপের মধ্যে কানেক্টিভিটি ও সহযোগিতা উন্নয়নের উপর গুরুত¦ আরোপ করা হয়েছে।

 



 

Show all comments
  • কামাল ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৩৮ এএম says : 0
    যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব মনে হয় আর বেশি দিন থাকবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • রাসেল আহাম্মেদ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    এটা হওয়াটা খুব বেশি জরুরী
    Total Reply(0) Reply
  • নাসির ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    চীনের প্রতি শুভ কামনা রইলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ