পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হতে জাতিসংঘের বেধে দেয়া তিনটি মানদন্ডের দুটি শর্ত পূরণ হলেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তিনটি শর্তই পূরণ করেছে। তাই আমরা এখন আর দরিদ্র দেশ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ তিনি এ সব কথা বলেন।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মফিজুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এস মুর্শিদ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক আমির হোসেনসহ পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ^ অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি, বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাবনা, মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্যাস সঙ্কট, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, শেয়ারবাজার, শিক্ষাব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের আকর্ষনীয় স্থান বাংলাদেশ। এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত হবে দেশটি। বিদ্যুৎ ও জ¦ালানির নিশ্চয়তা দিতে পারলে এখানে বিনিয়োগের অভাব হবে না। এল এনজি আমদানী শুরু হলে এ সমস্যা থাকবে না। ভোলায় দুটি নতুন গ্র্যাস ফিল্ড আবিস্কার হয়েছে। বর্তমান ধারায় ব্যবহার অব্যাহত থাকলে ১৪ বছরে ২৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ ১৪ বছরে শেষ হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হওয়ায় মজুদ দেড় ট্রিলিয়ন ঘনফুট বাড়বে।
এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, প্রবাসে পাঠানো শ্রমিকের সংখ্যা যোগ করে ৩৭ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বিদেশে গেছে। দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৪ লাখ। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংএ ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিনা মজুরির ১৪ লাখ শ্রমিক এখন মজুরি পাচ্ছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয়-ব্যয় জরিপে দেশে আয় ও ব্যয় বৈষম্যের বিষয়টি প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও দারিদ্রের হার কমছে ধীরে। তা ছাড়া প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে না কর্মসংন্থানও। এ অবস্থায় অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবে এ সব বিষয় মেনে নিতে নারাজ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়াল্ড ইকনোমিক ফোরামের মতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। গ্রাম শহর সব মিলিয়ে প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। হাওর অঞ্চলের জন্য রয়েছে বিশেষ প্রকল্প। বাংলাদেশর চাইতে অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দেশ এ এলাকায় নেই বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সব সূচকেই ভাল অবস্থান বিরাজ করছে। কিন্তু তারপরও রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এ খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এটা অনেক বেশি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্প করার প্রয়োজন নেই। শিল্প করতে গেলে পুঁজিবাজার ঋণ নেয়ার উপযুক্ত স্থান।
শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর করা অন্যতম চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের মানুষ খুব বুদ্ধিমান। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যারা যুক্ত, আমেরিকা গেলে সেখানেও তারা প্রশ্নফাঁস করে ফেলবে। তিনি বলেন, বর্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ অর্জন করা যাবে না। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বর্তমান বিশ্বের চাহিদা ও প্রয়োজন মেনে জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এবং হাতে-কলমে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আবাসন খাতে প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ। প্রবাসী আয় বেড়েছে। পুঁজিবাজার ইনডেক্স ৬ হাজার ১০০ এর উপরে। গড় লেনদেন একদিনে ৭৭৫ কোটি টাকা। তাই বলা যায়, পুঁজিবাজার অনেক বেশি ভাইব্রেন্ট। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক ভাল। আমরা যে চীনের কাছ থেকে ঋণ নেই। তাদের ঋণ মোটি জিডিপির তলনায় দ্বিগুন। সেখানে আমাদের ঋণ নেয়ার হার এখনো অনেক কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।