Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বহিষ্কৃত ছাত্রের গুলিতে ফ্লোরিডায় নিহত ১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে গুলি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যার পর স্কুলটির সাবেক এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকালে মিয়ামি থেকে ৭২ কিলোমিটার উত্তরের মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা পার্কল্যান্ডের মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে এ গুলির ঘটনা ঘটে। স্কুল ছুটির খানিক আগে ১৯ বছর বয়সী নিকোলাস ক্রুজ একটি অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে স্কুলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ক্রুজ স্কুলটির সাবেক ছাত্র; শৃঙ্খলাজনিত কারণে তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গুলির ঘটনায় নিহতরা ছাড়াও আরও ডজন খানেক আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর টেলিভিশন ফুটেজে ঘটনার সময়কার ভীতিকর পরিস্থিতি উঠে এসেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ফুটেজগুলোতে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীদের মাথার উপরে হাত তুলে স্কুলভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হয়ে আসতে দেখা গেছে; ডজনের ওপর পুলিশ সদস্য ও জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা তখন ছুটছেন ঘটনাস্থলের দিকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে শুনে ফ্লোরিডার দুই সিনেটরও পরে গণমাধ্যমকে ঘটনার বিবরণ জানান। বলেন, বন্দুকধারী ক্রুজ গ্যাস নিরোধক মুখোশ পরে, অ্যাসল্ট রাইফেল, গুলির কার্তুজ ও হ্যান্ড গ্রেনেড নিয়ে ছুটির কিছুক্ষণ আগে স্কুল ভবনে প্রবেশ করে ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয় এবং শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে হলওয়েতে আসতে বাধ্য করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্কুলটির কর্মচারী ও আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা গুলি শুরু হওয়ার পরপরই ফায়ার অ্যালার্মের শব্দ শুনতে পান বলে জানান। এরপর মুহূর্তের মধ্যে তিন হাজার তিনশ’ শিক্ষার্থীর স্কুলজুড়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়; সবাই হলরুমের দিকে ছুটলেও পরে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে লুকিয়ে পড়তে সাহায্য করেন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান আমেরিকার কোনো স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী যেন অনিরাপদবোধ না করেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি হাইস্কুলে গুলিতে ১৭ জন নিহত হওয়ার পর তিনি এক টুইটার বার্তায় এ কথা বলেছেন। এ সময় তিনি হত্যাকাÐের জন্য গভীর শোক-সমবেদনা প্রকাশ করেন। নিহতদের জন্য প্রার্থনা করেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম থেকেই অস্ত্র রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধী। অনেকেই বলেছেন, আমেরিকায় অস্ত্র বহনে অবাধ স্বাধীনতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বছরের পর বছর ধরে আমেরিকায় এ নিয়ে বিতর্ক চললেও এ থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অবশ্য বারাক ওবামার আমলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তা নস্যাৎ হয়ে যায়। সূত্র : সিবিএস নিউজ, সিএনএন, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্র

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ