পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো: আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই(ঢাকা) থেকে : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে কেউ ছাড় পায়নি, পাবে না। আওয়ামী লীগের এমপিসহ শত শত নেতাকর্মী তাদের অপরাধের জন্য কারাগারে আছেন। দুইজন মন্ত্রীও দুদকের মামলায় আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। সিরাজগঞ্জের মেয়র ও টাংঙ্গাইলের এমপি অপরাধের কারণে কারাগারে রয়েছেন। এ থেকেই প্রমান করে শেখ হাসিনার আমলে অপরাধ করে পারপাওয়ার উপায় কারো নেই।
গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাটের ধুলট পাড়াগ্রাম এলাকায় বংশী নদীর উপর বংশী সেতু উদ্বোধনের পর এক জনসমাবেশে এসব কথা বলেন। এসময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এলাকার জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন। আওয়ামী সরকার যতই উন্নয়ন করুক না কেন, ভালো আচরণ না করলে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আচরণ দিয়ে জনগণকে খুশি রাখতে হবে। আপনারা ক্ষমতার দাপট দেথাবেন ন্।া ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না। জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আপনারা জনগণের পাশে থাকবেন। তাদের জন্য কাজ করবেন। এমপির পিএস এপিএস কমিশন খান- কিন্তু এমপি ভাল, তাই আপনি যতই ভাল হন আপনার পাশের লোক যদি খারাপ কাজ করে তার দায় ভার এড়াতে পারবেন না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এসময় তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন আর বেশী দূরে নয় তাই দলকে সংঘটিত করুন। এখনই সদস্য সংগ্রহের কাজ করতে হবে তবে গোপনে নয়-বাড়ি বাড়ি ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। কয়জন আওয়ামী লীগ করে আর কয়জন অন্যদল করে খাতা কলমে তা হিসাব করতে হবে। দাগী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন দলে না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নেতাকর্মীদের উদ্যেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এমপি ও নেতাদের খুশি করতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা দেন। এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের এখন দুটি উদ্বেগের বিষয়। একটি একশ্রেণির দুর্বৃত্ত প্রশ্ন ফাঁস করে চলেছে। আর একটি হচ্ছে গ্রামে গ্রামে মাদক ছড়িয়ে যাওয়া। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। এদের ধরে দ্রুত বিচার আদালতে বিচার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর পরে তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে মামলা করেছে তা হয়েছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু বিএনপির পক্ষথেকে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ মামলা সাজিয়েছে। তারা বানিয়ে অনেক মিথ্যা কথা বলে। বিএনপির বড় বড় নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঢাকায় বাসায় বসে হিন্দি সিনেমা দেখে। নেতারা ভেবেছিল বেগম জিয়া জেলে গেলে লাখ লাখ মানুষ প্রতিবাদ করবে, রাস্তায় নেমে আসবে। কিন্তু কি হলো কেউ রাস্তায় নামেনি। তাই বিএনপির মরা গাঙে আর জোয়াড় আসবে না আসবে না। বিএনপি আন্দোলনে লোক না পেয়ে দেশের বিষয়ে বিদেশিদের ডেকে এনে নালিশ করছে।
এ জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এম মালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ বেনজির আহম্মদ, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মেঘনা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম খান সেলিম, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গোলাম কবির মোলাসহ ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী বৃন্দ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে নির্ধারিত সময়ের পুবেই প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হয়। সেতুটি, ধামরাই, মির্জাপুর, টাংগাইল জেলার সাথে সড়ক পথে এক নতুন দিগন্তের সুচনা হলো। ফলে ঢাকা থেকে টাংগাইল, মির্জাপুর চলাচলের এ পথের যাত্রীদের সময় কম লাগবে। শুধু তাই নয় এতে যাত্রীদের যাতায়াতে কয়েকগুন ভোগান্তি কমে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।