নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের হকিতে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী একটি ভালবাসা বন্ধনের নাম। প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর ভালবাসার বন্ধনেই জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সঙ্গে। ঘরোয়া মর্যাদাপূর্ণ আসর প্রিমিয়ার হকি থেকে শুরু করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগে ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এই বন্ধনকে আরও মজবুত করেছে তারা। বিশ্ব ভালবাসা দিবসের দিন গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করলো বাহফের সঙ্গে। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণাই দেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তরা। অনুষ্ঠানে বাহফে- গ্রীন ডেল্টার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াও ২০১৬ সালের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব ও রানার্সআপ ঊষা ক্রীড়া চক্রের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। ট্রফি তুলে দেন বাহফে’র সভাপতি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির আহমেদ চৌধুরী এবং সিইও ফারজানা চৌধুরী।
চুক্তি অনুযায়ী এবার ঘরোয়া সবগুলো লিগের পৃষ্ঠপোষকতা বাবদ গ্রীন ডেল্টা বাহফেকে এক কোটি টাকা দেয়া ছাড়াও জাতীয় দলের দূর্ঘটনা বীমাও দেবে। বাহফের পক্ষে আবু এসরার এবং গ্রীণ ডেল্টার পক্ষে ফারজানা চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় বাহফে সভাপতি আবু এসরার বলেন, ‘কেবল ৩৩ বছরেই নয়, সামনে আরও এমন তিন বছর করে চুক্তি করতে চাই আমরা গ্রীণ ডেল্টার সঙ্গে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সবচেয়ে কাছের এবং পুরনো বন্ধু। তাই আমাদের পথ চলায় সব সময় তাদের পাশে পেতে চাই। আশাকরি এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’
প্রিমিয়ার, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগ হকি লিগের একমাত্র পৃষ্ঠপোষক গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী। এবার নতুন একটি লিগের ঘোষণাও দিলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক। তিনি বলেন, ‘আগামীতে পাইওনিয়ার হকি লিগ করার ইচ্ছে রয়েছে আমাদের। গ্রীণ ডেল্টা চাইলে সেটার পৃষ্ঠপোষকতাও তারা করতে পারে। তাছাড়া আমরা জাতীয় দল নিয়ে বেশ আশাবাদি। এশিয়ায় ছয় থেকে চার নম্বরে ওঠে আসতে চেষ্টা করছি।’ গ্রীণ ডেল্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির আহমেদ চৌধুরীর কথা, ‘স্বাধীনতার আগে আমি ফুটবল পাগল ছিলাম। মোহামেডান, ইষ্ট বেঙ্গল এবং মোহন বাগানের খবর রাখতাম। কোলকাতা থেকে পত্রিকা আসতো একদিন পরে। সেই খবর পড়তাম। কিন্তু স্বাধীনতার পর হকির সঙ্গে জড়িয়ে গেলাম। এখন পর্যন্ত আছি। ভবিষ্যতে আমার মেয়ে ফারজানাও থাকবে আশাকরি।’
২০১৪ সালে জাতীয় দলের ২৫ জন খেলোয়াড়কে দূর্ঘটনা বীমা দিয়েছিল গ্রীণ ডেল্টা। এবারও খেলোয়াড়দের সেই বীমা দিচ্ছে তারা। দলের ডিফেন্ডার মামুনুর রহমান চয়নের হাতে বীমার কাগজ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তিন লাখ টাকা করে দূর্ঘটনা বীমা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা রাসেল মাহমুদ জিমিকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতি আবু এসরারের হাতে ফেডারেশনকে ১০ লাখ টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি, বাহফের সহ-সভাপতি ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব একেএম মোমিনুল হক সাঈদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।