Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগ্রহী পাকিস্তান!

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২১ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ভারতে। কর সংক্রান্ত জটিলতায় ভারতের অবস্থান দুর্বল হওয়ার কারণে তা এখন শঙ্কার মুখে। এই সুযোগে আসরটির আয়োজক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি মেগা আয়োজন সফলভাবে আয়োজন করায় বাংলাদেশের নামও আসবে আলোচনায়।
টুর্নামেন্টটি ভারতে হলে সেখান থেকে পর্যাপ্ত অর্থ না পাওয়ার শঙ্কায় তৎপর হয়ে উঠেছে আইসিসি। তাদের মতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিশাল একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনে একটি ‘মানসম্মত চর্চার’ প্রয়োজন। এ কারণে বিকল্প ভেন্যু অন্বেষণের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করেছে আইসিসি। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সামনেও টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তান চায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। যেখানে কয়েকটি ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজনেরও সুযোগ থাকবে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের ধারনা পিসিবির প্রস্তাব আইসিসি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে। আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল করাচিতে আয়োজন এবং টুর্নামেন্টের দুটি প্লে-অফ ম্যাচ লাহোরে আয়োজনের মাধ্যমে দেশটি এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানকে আরো জোড়ালো করতে চায় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর।
২০০৯ সালে লাহোরে সফররত শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর সশস্ত্র হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন থেকে নির্বাসিত রয়েছে পাকিস্তান। এরপর থেকে পাকিস্তান তাদের হোম সিরিজগুলোর আয়োজন করে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এখন কর্তৃপক্ষ চায় নিজ দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসুক। গত বছর আয়োজিত পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল লাহোরে। ওই ম্যাচে বেশ কজন বিদেশী খেলোয়াড়ও অংশ নিয়েছিল। তবে নিরাপত্তা শংকায় অংশগ্রহণকারী দলের অনেক বিদেশী ক্রিকেটার পাকিস্তান সফরে যাননি। এরপর গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে একটি টি-২০ ম্যাচের আয়োজন করে পাকিস্তান। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরেকটি টি-২০ ম্যাচও আয়োজন করে। লাহোরে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচই নির্বিঘেœ সম্পন্ন হয়।
আর্থিক সংকটে জিম্বাবুয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী মাস খানেক বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা। আগামী ২২ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মর্যাদকার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) আসর। যা চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে খেলবে পাকিস্তান। এর পরপরই রয়েছ ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। তারপর স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবার কথা রয়েছে।
তবে জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে তৈরী হেেছ শঙ্কার কালো মেঘ। জুনে তিন ধরনের ফর্মেটেই পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দেয়ার কথা ছিল। একইসাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ারও জিম্বাবুয়ে সফরে যাওার কথা ছিল। যদিও সিরিজগুলো সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ঘরের মাঠে আসন্ন এই আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো আয়োজনে আর্থিক সংকট একটি বড় ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের কাছে। যেকোন দলের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন সবসময়ই ব্যয়বহুল। সফরকারী দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্টের দরকার হয়। যদিও এর মাধ্যমে বেশ বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু জিম্বাবুয়ের মাটিতে তা কতটা লাভজনক হবে সেটাই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এখন চেষ্টা করছে উভয় দেশের সাথে আলোচনা করে দিপাক্ষিক নয় বরং ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের। কিন্তু সেখানেও অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ব্যবস্থপনা পরিচালক ফয়সাল হাসনাইন বলেছেন, আর্থিকভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি আয়োজন কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা টিভি স্বত্ত থেকে তেমন কিছুই পাইনা। দিনের শেষে দেখা যায় এ ধরনের সিরিজ থেকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
২০১৯ বিশ^কাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো আগামী মাসে জিম্বাবুয়েতে শুরু হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ