পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক ‘নৈতিকভাবে মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন’ বলে আইনজীবীদের একটি অংশ দাবি করলেও দুই মন্ত্রীর সহকর্মীরা এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিবেচনার ব্যাপার। একই কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তারা বলেছেন, এখানে আইনগত ব্যাপার আছে, আরেকটা হচ্ছে নৈতিকতা। নৈতিকতার ব্যাপারটা যার যার নিজের ব্যাপার। সেটা আমাদের কিছু বলার নেই।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে বেরিয়েই এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী ও সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক আর মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন কি নাÑ এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এখানে এটা একদমই পরিষ্কার, এখানে কিন্তু সংবিধান ক্ষুণœ হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। এখানে পদত্যাগ করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত বিবেচনার ব্যাপার। আদালত নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে মন্ত্রীদের শপথ ভঙ্গ হয়েছে কি নাÑ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না, শপথ ভঙ্গ হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে একটা শব্দও আলোচনা হয়নি। সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে এটা কি হুট করে বলা যায়? বৈঠকে দুই মন্ত্রীকে কেমন দেখেছেনÑ এ প্রশ্নে কাদের বলেন, তারা আগের মতোই ছিলেন, অ্যাজ ইউজুয়াল। আমি তাদের মধ্যে কোনো ব্যতিক্রম দেখিনি। নৈতিকভাবে তারা এখন আর মন্ত্রী থাকতে পারেন কি নাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরও তিনি এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, আমরা তো একেক সময় একেক কথা বলব না। এর আগেও বিষয়টি ভালোভাবে নেইনি। আমাদের সরকারি উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি এটা হলো সত্য কথা। কারণ দেশের প্রধান বিচারপতি প্রতিষ্ঠান। তার ব্যাপারে কোনো সুইপিং রিমার্কস করা সঙ্গত নয়, সমীচীন
দাবি করেন কাদের। আদালতের রায় নিয়ে সরকারিভাবে বা দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। আর আলোচনা হওয়ার আগে তিনি নিজেও ‘আরেকটি সুইপিং রিমার্কস’ করতে চান না।
আদালত নিয়ে মন্তব্যে দুই মন্ত্রীর শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে কাদের আইনমন্ত্রীকে দেখিয়ে দেন। শপথ থাকে কী থাকে নাÑ আইনমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। আমি আইন পড়িনি, কাজেই আইন সম্পর্কে জানি না। দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত কি নাÑ এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার একজন কলিগের পদত্যাগ আমি দাবি করবÑ এটা তো ঠিক না। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।