পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলে সংকট হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সাংগঠনিক সংকট সৃষ্টির জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট। তিনি বলেন, আমরা চাই না বিএনপি ভেঙ্গে যাক। এটি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তবে বিএনপি যদি ভেঙ্গে যায় তার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী থাকবে। আরো বলেন, আমরা বিএনপির অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক সংকট ঘনীভূত করবো না। তাদের অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত হওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলের সামনে বিআরটিসির ভ্রাম্যমান আদালত পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরাতে চাইছে সরকার দলের নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে কাদের বলেন, আমি চাই না বিএনপি ভাঙ্গুক। বিএনপি একটা বড় দল, আমরা চাইনা সেটা ভাঙ্গুক।
এই চেষ্টাও আমরা করবো না। বিএনপি ভাঙ্গার জন্য আমি মনে করি বিএনপি নিজেরাই দায়ি হবে এবং বিএনপির সংকট আমরা ঘনিভূত করবো না, আমরা এখানে ফ্যাক্ট না। বিএনপির সাংগঠনিক অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনিভূত করার জন্য জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট। নেত্রীকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্ত হওয়ার বিষয়টি এখন সম্পুর্ণ রূপে আদালতের ব্যপার। আদালতের আদেশে তিনি দন্ডিত হয়েছেন এবং জেলে গিয়েছেন। এখন তাকে মুক্তি দিতে পারে, তিনি যখন আপিল করবেন। আপিলের বিচারে তাকে মুক্তি দেয়া যায় কিনা সেটা আদালত বিবেচনা করতে পারে। এখানে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করেনি, এমন কি ভবিষ্যতেও করবে না।
তিনি বলেন, আদালত যদি বেগম জিয়াকে মুক্তি দেন, সেখানে আমাদের তো কোন অসুবিধা নেই। এই রকম কথার কোন উপসংহার নেই। তারা একবার বলছে যে কোন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাবে, আবার বলে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তাদের জিজ্ঞাসা করুন কোনটা ঠিক।
কাদের বলেন, তারা তো একেকবার একেক কথা বলছে। সরকার এ ব্যপারে কোন হস্তক্ষেপ করবে না। আমরা নির্বাচনে বিএনপির মত একটা বড় দলকে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য চাই। প্রতিদ্ব›িদ্বতায় মজা না থাকলে ইলেকশনে মজা নাই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং ইলেকশনটা প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হোক। তিনি বলেন, বিএনপি ইলেকশন থেকে সরে গেলে আমরা খুব খুশি হবো, আমাদের জন্য উৎসাহ ব্যঞ্জক কিছু হবে, এটা ঠিক না। আমরা একটা প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচন চাই। আর সেজন্য বিএনপি থাকা দরকার।
নয়াপল্টনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি থেকে গতকাল গণ-আন্দোলনের ডাক দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। তাদের এ আন্দোলনও সফল হবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের হাক ডাক তারা যেভাবে দেন, সেটা জনগণ সাড়া না দিলে তো গণ আন্দোলন হবে না। নয় বছর তারা বারবার ডাক দিয়েছেন জনগণ সাড়া দেয়নি। যে আন্দোলনে তারা নিজেরাই অংশ নেয় না সেখানে জনগণ কি করে আসবে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক বলেন, আপনারা খবর নিয়ে দেখুন, যে কয় দিন ধরে বেগম জিয়া কারাগারে, তাদের কয়জন নেতা মিছিল মিটিংয়ে থাকেন। এখন নেতারা যদি আন্দোলন ডেকে এয়ার কন্ডিশন রুমে বসে থাকেন, আরাম আয়েশে দিন কাটান, মাঝে মাঝে মোবাইল করে পুলিশের গতিবিধির খোঁজখবর নেন তাহলে আন্দোলন কিভাবে গতিশীল হবে? তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করেছি বিএনপি আমলে। আমাদের নেতারা মাঠে ছিল। এখন সম্পুর্ণ ভিন্ন চিত্র। এখন নেতারা আন্দোলনে থাকে না, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া। আন্দোলন কখনো সফল হবে না যদি এই আন্দোলনে জনগনের রেসপন্স না থাকে। বিএনপি নেতাদের ভাষণ শুনে দেশের জনগণ মাঠে নামবে না বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডে খুশি। বিএনপির জন্য মানুষ মাঠে নামবে এমন কোন কাজ তারা করতে পারেনি, মানুষ শুধু ভাষণ শুনে বিএনপির জন্য রাস্তায় নামবে? তারা ভেবেছিল বেগম জিয়া কারাগারে গেলে লক্ষ লক্ষ লোকজন রাস্তায় নেমে আসবে। সারা দেশের মানুষ নেমে আসবে। জনগণ কি রাস্তায় নেমেছে বেগম জিয়ার জন্য? তারা প্রত্যাশা করেছিল লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। সেখানে শতশত মানুষও নেমে আসেনি। তারা আন্দোলন করবে কি দিয়ে? বাকি দিনে তারা নির্বাচনের মুডে চলে যাবে। এখন আর আন্দোলনের মুডে কেউ নেই, সবাই নির্বাচনের মুডে আছে।
আদালতের রায়ের কপি দেরিতে পাওয়ার জন্য সরকারকে দায়ী করে মওদুদ আহমদের বক্তব্যের জাবাবে কাদের বলেন, মওদুদ আহমদ কি বললেন সেটা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে একটা সংশয় থাকে। কারণ, তিনি নিজেই তো মৃত ব্যক্তির ভূয়া কাগজ দেখিয়ে অবৈধ বাড়িকে বৈধ করতে চেয়েছিলেন আদালতে ভূয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে। তিনি সেই বিজ্ঞ আইনজীবী। এখন মওদুদ আহমদের মত এত অভিজ্ঞ আইনজীবী যেখানে আছেন, তখন কেন আদালতের কাগজ পেতে দেরি হচ্ছে এর জবাব আদালতই দিবে।
এ সময় বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।