নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ৯ বছরেরও বেশি সময় পর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সেঞ্চুরি করলেন মোহাম্মাদ আশরাফুল। সতীর্থ তাইবুর রহমানও খেলেছেন তিন অঙ্কের ইনিংস। কিন্তু দিন শেষে দুজনকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পরাজয়ের হতাশা নিয়ে। কে জানত, তাদের জবাবটা লিটন দাস একাই দিয়ে দেবেন। লিটন ঝড়েই কলাবাগানের ২৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ প্রাইম দোলেশ্বর টপকে যায় ৮ উইকেট ও ৩০ বল হাতে রেখেই।
গতকাল তিন ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে মোট পাঁচটি। এর মধ্যে তিনজনকেই পুড়তে হয়েছে পরাজয়ের হতাশায়। আশরাফুল-তাইবুর ছড়াও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে জহুরুল ইসলামকে। অবশ্য গাজী গ্রæপ দলপতির ব্যাট ছিল একটু বেশিই ধীর। যে কারণে মুমিনুল হকের ৪৭ বলে ৪৬ ও রজত ভাটিয়ার ৬০ বলে ৬১ রানের পরও ৫ উইকেটে ২৪৭ রানে আটকে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ। ৪৯তম ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ১৪২ বলে ১০২ রান করেন জহুরুল। সম্মিলিত প্রায়াসে যে রান ৯ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন মহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ম্যাচ সেরাও হন এই ১৮ বছর বয়সী তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
লিটনের পাশাপাশি কাজে লেগেছে সাইফ হাসানের শতক। ১৯ বছর বয়সী ওপেনারের ১৩২ বলে ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নেয় আবাহনী লিমিটেড। আবাহনীর সংগ্রহটা আরো বড় হতে পারত। কিন্তু মিডিল ও লোয়ার অর্ডারদের ব্যর্থতায় ৩৯ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রানের পরও পুরো ৫০ ওভার খেলে ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। এসময় চার ব্যাটসম্যানই হন রান আউটের শিকার।
কিন্তু এই রানও ব্রাদার্সের কাছে পাহাড়সম করে তোলেন মিরাজ-সানজামুল-সজীব স্পিন ত্রয়ী। ৫০ রানের দারুণ উদ্বোধনী জুটির পরও তাই তারা গুটিয়ে যায় ১৩০ রানে। ছয়ে নেমে সর্বোচ্চ ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির অলী। টানা দুই জয়ের পর হারের স্বাদ পেল অলক কাপালির ব্রাদার্স।
তবে গতকাল পুরো আলো ছিল বাংলাদেশ টি-২০ দলে উপেক্ষিত লিটন দাসের উপর। দোলেশ্বরের হয়ে ওপেনে নেমে ১২৩ বলে ১৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। চারে নামা মার্শাল আয়ুবও ছিলেন একই মেজাজে। এই পেসার-অল রাউন্ডার করেন ৭৩ বলে অপরাজিত ৯১ রান। ১২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর ১৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন। তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
এর আগে কলাবাগানের হয়ে ১৩১ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ১০৪ রান করেন আশরাফুল। ১০৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুক্তার আলি উপহার দেন ১৬ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত এক ক্যামিও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রæপ-খেলাঘর, সাভার ৩
গাজী গ্রæপ : ৫০ ওভারে ২৪৭/৫ (জহুরুল ১০২, ইমরুল ১৪, মুমিনুল ৪৬, জাকের ১১, নাদিফ ২, ভাটিয়া ৬১*, নুরুজ্জামান ৩*; সাদ্দাম ১/৪২, মাহমুদ ১/৫০, রাফসান ১/১২)।
খেলাঘর : ৪৮.৩ ওভারে ২৪৯/৫ (রবি ৩২, নাফিস ২৮, মাহিদুল ৮৫, অমিত ২৪, মেনারিয়া ৫১, নাজিম ১৪*, মইনুল ৬*; মুমিনুল ১/১২, নাঈম ২/৪৮)।
ফল : খেলাঘর ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : মহিদুল ইসলাম (খেলাঘর)।
কলাবাগান-প্রাইম দোলেশ্বর, সাভার ৪
কলাবাগান : ৫০ ওভারে ২৯০/৪ (আশরাফুল ১০৪, তাইবুর ১১৪*, মুক্তার ৪০*; মানিক ২/৪৪, সানি ২/৪৯)।
প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৫ ওভারে ২৯১/২ (ইমতিয়াজ ৪০, লিটন ১৪৩*, মার্শাল ৯১*; সাক্সেনা ২/৫৭)।
ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : লিটন দাস (প্রাইম দোলেশ্বর)।
আবাহনী-ব্রাদার্স, ফতুল্লা
আবাহনী : ৫০ ওভারে ২৬৬ (এনামুল ৪১, সাইফ ১০৮, শান্ত ৩৮; খালেদ ২/৪৪, রনি ২/৬৬)।
ব্রাদার্স : ৩৫.৪ ওভারে ১৩০ (মিজানুর ২৪, জুনায়েদ ২৪, ইয়াসির ৩৫*; মিরাজ ৩/২৪, সানজামুল ৩/২৮, সজীব ২/৮)।
ফল : আবাহনী : ১৩৬ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : সাইফ হাসান (আবাহনী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।