পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের অসম্মান বা অমর্যাদা করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত হলেও একজন ভিআইপি আসামিকে রাখার মতো করেই ডেকোরেশন করা হয়েছে। তাছাড়া ভবনটি খুব বেশিদিনের পরিত্যক্ত নয়।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জেলখানা আরাম আয়েশের জায়গা না, জেল তো জেলই। কিন্তু জেল কোড অনুযায়ী সব সুযোগ সুবিধাই তিনি পাবেন। তিনি বলেন, জেলকোডে গৃহপরিচারিকা অথবা ব্যক্তিগত সহকারী রাখার কোনও বিধান নাই। ওয়ান ইলেভেনের সময় আমাদের নেত্রীও জেলে ছিলেন, উনিও গৃহপরিচারিকা রাখেননি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানও জেলে ছিলেন, তিনিও এ সুবিধা পাননি। এসি (এয়ার কন্ডিশন) ও জেলকোডে নেই। মোট কথা জেল কোনও আরাম আয়েশের জায়গা নয়।
বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হচ্ছে না’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম জিয়াকে ডিভিশন দেয়া না হলেও, হয়ত অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ডিভিশন পেয়ে যাবেন। তবে যেখানে তাকে রাখা হয়েছে সেটি তার থাকার উপযোগী করেই তৈরি করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আক্ষরিক অর্থে যেটা ডিভিশন বলে সেটা দেয়ার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে হয়তবা। কিন্তু এখন যে মর্যাদায় উনি আছেন তার জন্য যেভাবে খাবার দাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং তার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে, আমার মনে হয় এসব বিষয় ডিভিশনপ্রাপ্ত প্রিজনাররা যেভাবে সুযোগ পান তা তিনি পাচ্ছেন। তিনি বলেন, জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তিনি মর্যাদা, গুরুত্ব এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেটা পাচ্ছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি যা চাচ্ছেন সেটা তাকে দেয়া হচ্ছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ডিভিশনের ব্যাপারটা যদি বলা যাচ্ছে না এটাও আদালতের রায়ের সাথে থাকার কথা। কেন দেয়া হয়নি ঠিক জানি না। নিশ্চয়ই আদালত এটা দেয়ার জন্য বলবে। ডিভিশনের চেয়ে তিনি খারাপ অবস্থায় নেই। আর ডিভিশন পেলে এর চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন আমার সেটা মনে হয় না। এটা তার স্ট্যাটাস টা দেখেই তাকে মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
তবে কারাগারে মুক্ত জীবনের সুবিধা যে পাওয়া যায় না, সেটাও জানান সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আপনাকে বুঝতে হবে, জেলখানা আরামের জায়গা নয়। সব সুবিধা তো এখানে পাওয়া যাবে না। তবে একটা মানুষ থাকতে হলে যা কিছু প্রয়োজন তা তাকে (খালেদা জিয়া) দেয়া হয়েছে।
উনি তো সেতুমন্ত্রী নন, অর্থমন্ত্রীকে কাদের
পদ্মাসেতুর উদ্বোধন পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যকে নাচক করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি নিশ্চিত, নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ চলতি বছরেই শেষ হবে বহুল প্রতীক্ষিত সেতুটির নির্মাণ কাজ। এছাড়া ভিআইপি ও জরুরি সেবায় ঢাকার রাস্তায় পৃথক লেনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সের মতো সেবায় আলাদা লেন প্রয়োজন। তবে ভিআইপিদের জন্য নয়।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতু মন্ত্রী এ কথা বলেন। গত ৫ ফেব্রæয়ারি রাজধানীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সেতুর উদ্বোধন পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, নিজেদের অর্থে নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু আগামী ২০১৯ সালের জুনে উদ্বোধন হবে। তবে যান চলাচল মার্চ মাস থেকেই শুরু হতে পারে। যদিও এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি সংসদে এবং পরের দিন মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে গিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানান কাদের। সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল আসলেই কি পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে? কার কথা ঠিক? অর্থমন্ত্রীর নাকি তার। জবাবে কাদের বলেন, অর্থমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা সঠিক নয়। উনি তো সেতুমন্ত্রী নয়। আমি সেতুমন্ত্রী, বিষয়টা আমাদেরকে দেখতে হবে। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হবে জানিয়ে কাদের বলেন, আমরা কাজের বেশকিছু জটিলতা পার হয়ে এসেছি। এভাবে পদ্মা সেতুর কাজ চলতে থাকলে আমাদের টাগেট অনুযায়ী সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর মূল সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের দিনই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতু চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুটি পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে নদীর বুকে সেতুর ১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। মোট ৪২টি পিলারে এ রকম ৪১ স্প্যান বসার কথা রয়েছে। আর প্রথম স্প্যানটি বসানোর দিন প্রতি মাসে একটি করে স্প্যান বসানোর কথা হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় পরের স্প্যানটি বসতে সময় লেগে যায় প্রায় চার মাস। গত ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসার মধ্য দিয়ে সেতুর ৩০০ মিটার এখন দৃশ্যমান হয়েছে। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সময় মতো হবে কি না, এই প্রশ্ন উঠেছে নদীর বুকে মাটির নিচের গঠনগত জটিলতার কারণে। বেশ কিছু পিলার বসানোর সময় মাটির গভীরে গভীর কাদার স্তর পাওয়া গেছে। ফলে ১৪টি পিলারের নকশা পাল্টাতে হচ্ছে। স¤প্রতি সড়ক ভবনে ঢুকতে গিয়ে একজন সাংবাদিক হেনস্থার মুখে পড়েছিলেন। এরপর বেশ কিছু গণমাধ্যমে সেতু ভবনে সাংবাদিক নিষিদ্ধ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এমন এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিক নিষিদ্ধ করার কোনো কারণ নেই। সাংবাদিককে হয়রানির বিষয়টি নিয়ে সেতু সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, সচিবকে বলে দিয়েছি, সাংবাদিকদের সাথে যেন যথাযথ আচরণ করা হয়। আমি সব জানি, আমি অলরেডি নির্দেশ দিয়েছি তারা পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের সাথে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জরুরি সেবার লেনের পক্ষে কাদের, ভিআইপিদের জন্য না
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এটা শুধু ভিআইপিদের জন্য আলাদা লেন নয়, এখানে রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবার বিষয়টা আছে। এগুলো বিশেষভাবে করলে অসুবিধা কি? পারসোনালি আমি মনে করি, ওটা ঠিক আছে- অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি সেবা- এসব ব্যাপারে এ ধরনের লেন যদিও আমাদের স্পেস খুব কম, কতটা সম্ভব হবে আমি জানি না। আপাতত ডিটিসিএ এমন কোনো ব্যবস্থা করতে পারবে, এই মুহূর্তে সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি আমাদের ধীরে ধীরে দৃঢ়তার সঙ্গে ভিআইপি সংষ্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এদেশের মানুষ, জনগণের কথা আগে আমাদের ভাবতে হবে। আমরা আলাদা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবো, সাধারণ মানুষ সেটা থেকে বঞ্চিত থাকবে, সেটা আমার মনে হয়ৃ আমরা যেহেতু পলিটিক্যাল গভর্মেন্ট, আমরা এসব বিষয়ে চিন্তা করবো কিনা, গভীরভাবে ভাবতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।