নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ব্রাদার্সের দ্বিতীয় জয়েও নায়ক অধিনায়ক অলক কাপালি। এবারো ব্যাট-বলে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অল-রাউন্ডার।
সাভারের পাশের মাঠে শফিউল ইসলামও ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে-বলে। কিন্তু দিন শেষে তাকে বরণ করতে হয়েছে পরাজয়ের হতাশা। শেখ জামালের ছুড়ে দেয়া ২৯৫ রানের বড় লক্ষ্যে শেষ ওভারে গিয়ে ২৬৬ রানে শেষ হয় শফিউলের অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস। নয় নম্বরে ব্যাটে নেমে ৩১ বলে তিন ছক্কায় ৪৪ রান করেন শফিউল। তাদের ইনিংসে চল্লিশোর্ধো ইনিংস আছে আরো দুটি। কিন্তু কেউই ক্রিজে স্থায়ী ছিলেন না। যে কারণে লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হয়নি। হারতে হয়েছে ২৮ রানে।
জামালের শুরুটাও ভালো ছিল না। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় তারা। তবে মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়ীত্বশীল ব্যাটিং ও সাত নম্বর ব্যাটসম্যান তানবির হায়দারের ৪৮ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। যে কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তানবিরের হাতে।
পাশের মাঠে প্রথমে ব্যাট করা ব্রাদার্সের সংগ্রহও ছিল ঠিক ২৯৪! এখানে অবশ্য ছিল টপ অর্ডারদের ব্যাটিং প্রদর্শনী। শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই খেলেন নূন্যতম ত্রিশোর্ধো ইনিংস। সর্বোচ্চ ৭৯ রান (৬৭ বলে, ৫টি করে চার ও ছয়) করেন কাপালি। ৬৩ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়সির আলী। জবাবে ২৭০ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ৬৯ বলে ৮৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি নাহিদুল ইসলাম। ১৫৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে ১০৭ রানের জুটি গড়েন নাহিদ। এসময় হারের শঙ্কা চেপে বসে ব্রাদার্স শিবিরে। নাহিদকে পিরিয়ে সেই শঙ্কা দুর করেন খালেদ আহমেদ। এর আগে ৩ উইকেট নিয়ে মিডিল অর্ডারের মাজা ভেঙে দেন কাপালি।
তবে টানা দ্বিতীয় হার বরণ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ছুড়ে দেয়া ২৩২ রানের লক্ষ্যও তারা পূরণ করতে পারেনি। মোশাররফ হোসেন ও আসিফ হাসানের ঘুর্ণী ও মোহাম্মাদ শহিদের পেস তান্ডবে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে ৬২ রানে ম্যাচ হারে মোহামেডান। এর আগে কাজি অনিকের ৫ উইকেট শিকারে ৭ উইকেটে ২৩১ রানে আটকে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনিংয়ে নেমে ৭০ রানের ইনিংস খেলা আব্দুল মজিদ হন ম্যাচ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক-ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সাভার ৩
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ৫০ ওভারে ২৯৪/৭ (মিজানুর ৩৬, জুনায়েদ ৪৫, মাইশুকুর ৩০, কাপালি ৭৯, সিম্পসন ১২, ইয়াসির ৬৯*, শুভ ৭, রানা ১, নিহাদ ৯*; দেলোয়ার ২/৫৪, নাহিদুল ১/৩০, মনির ১/৪১, আল-আমিন ১/৪৭, এনামুল জুনি. ০/৪৪, আরিফুল ২/৭৬)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৭.৪ ওভারে ২৭০ (মারুফ ৯, জাকির ৫০, আল-আমিন ২, চান্ডেলা ৫০, মেহরাব ৩, আরিফুল ২, নাহিদুল ৮৮, সাজ্জাদুল ৩, দোলোয়ার ৩৬, মনির ৭, এনাম জুনিয়র ৩*; ইফতেখার ১/২৬, খালেদ ২/৪৩, রানা ১/৪৭, কাপালি ৩/৪৬, শুভ ২/৫৪, নিহাদ ০/৪৯)।
ফল : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : অলক কাপালি (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)।
শেখ জামাল- অগ্রণী ব্যাংক, সাভার ৪
শেখ জামাল : ৫০ ওভারে ২৯৪/৯ (পিনাক ০, হাসান ৮, সৈকত ৪৩, রঞ্জি ৫৮, সানি ৪০, নুরুল ৩৬, তানবির ৭১, জিয়া ১৫, সোহাগ ১৩, নাজমুল ০*; শফিউল ৪/৬৮, আল-আমিন ১/৭৬, রাজ্জাক ২/৪০, সৌম্য ২/৫০)।
অগ্রণী ব্যাংক : ৪৯.১ ওভারে ২৬৬ (আজমির ১৫, সৌম্য ২২, শাহরিয়ার ২১, রাফাতউল্লাহ ৪৩, ধীমান ৪৮, সালমান ৮, জাভেদ ১৯, রাজ্জাক ২৪, শফিউল ৪৪, শাহবাজ ২, আল-আমিন ৭*; জায়েদ ১/৬০, সোহাগ ২/৫৫, নাজমুল ৩/২১, রঞ্জি ০/১৮, জিয়া ১/৪৭, সানি ৩/৫০, তানবীর ০/১৫)।
ফল : শেখ জামাল ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : তানবির হায়দার (শেখ জামাল)।
রূপগঞ্জ-মোহামেডান, ফতুল্লা
রূপগঞ্জ : ৫০ ওভারে ২৩১/৭ (মজিদ ৭০, পাপ্পু ২২, সামি ১, নাঈম ৩৬, তুষার ৪০, অভিষেক ৪৫*, নাজমুল ৬, শহিদ ১, মোশাররফ ১*; শুভাশিস ০/৫৪, এবাদত ০/৫৭, তাইজুল ০/৩৩, এনামুল ২/৩৮, অনিক ৫/৪৪)।
মোহামেডান : ৪৪.৩ ওভারে ১৬৯ (রনি ৩০, সালমান ২১, শামসুর ৩৪, ইরফান ১৯, রকিবুল ৩২, আমিনুল ২, এনামুল ১৮, তাইজুল ০, অনিক ৮, শুভাশিস ১*, এবাদত ০; শহিদ ৩/৩৩, রাসেল ০/৪১, আসিফ ৩/৩৭, নাঈম ০/৩৫, মোশাররফ ৪/২৩)।
ফল : রূপগঞ্জ ৬২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : আব্দুল মজিদ (রূপগঞ্জ)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।