Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাখ্যা নেই মাহমুদউল্লাহর কাছেও

সাকিবকে ‘ভীষনভাবে’ মিস করেছে দল

| প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথম ইনিংসে ১১০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৩। প্রথম ইনিংসে ৩ রানে পড়েছিল শেষ ৫ উইকেট। পরেরটিতে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ২৩ রানে। উইকেট যেমনই হোক এমন হতশ্রী দশার সাফাই হয় না। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও খুঁজে পাচ্ছেন না কোন জবাব। প্রথম ইনিংসে ৪৫.৪ বল ব্যাট করে ১১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও করুণ দশা। মাত্র ২৯.৩ বলে ১২৩ রানে শেষ। দুই ইনিংস মিলিয়েও এক দিনের সমান ৯০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি।
৩৩৯ রান তাড়ায় চতুর্থ ইনিংসে মেরে খেলতে শুরু করে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অস্থির, ফলে ধস নামতেও লাগেনি সময়। অধিনায়কের মতে উইকেটে ভাষা পড়ে ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলেন তারা, ‘এ ধরণের উইকেটে যদি আপনি ইন্টেন্ড শো না করেন, আপনি যদি পজিটিভ না থাকেন, আপনি যদি বোলারকে সুযোগ দেন সেটেল করার তাহলে আপনি বিপদে পড়বেন।’
মতিগতি ইতিবাচক রাখতে গিয়ে ১২৩ রানেই শেষ। অনেকটা সময় বাকি থাকার পরও কেন আরেকটু বাড়তি নিবেদন নয়। অধিনায়ক বারবার শোনালেন অভিপ্রায় রাখার কথা, যে অভিপ্রায় রাখতে গিয়ে ম্যাচটা নিজেদের পক্ষে নিতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘আমাদের মধ্যে যে কথা হয়েছে, আমাদের অভিপ্রায়টা ইতিবাচক থাকবে। আমরা যদি বারবার ডিফেন্ড করতে থাকি, বোলারদের সুযোগ দিতে থাকি এখানে একটা বল স্পিন হচ্ছে, একটা সোজা যাচ্ছে, একটা লোয়ার বাউন্স হচ্ছে, একটা নিচেও নামছে। সেদিক থেকে মনে হয় আপনি সুযোগ দিচ্ছেন। সেদিক থেকে বলব, ওরা সবসময়য় প্রেশারটা বজায় রেখেছে।’
টানা দুই ইনিংসে একই রকম ধসে পড়ার কোন জবাবও খুঁজে পেলেন না অধিনায়ক, স্বীকার করলেন যা হওয়ার হয়ে গেছে প্রথম ইনিংসেই ‘জবাব দেওয়া আসলে কঠিন। কারণ, অবশ্যই খুব হতাশাজনক। আমার মনে হয় যে, এ ধরণের উইকেটে হয়তো বা আমরা জানতাম টার্গেট চেজ করব। আমাদের সবারই ধারণা ছিল যে এই টেস্টে আমরা রেজাল্ট দেখব। যেখানে আমরা জানি, স্পিনসহায়ক উইকেট। প্রথম ইনিংসেই আমাদের ভালো করা উচিত ছিল। আমার মনে হয় এই জিনিসটা আমরা পিছিয়ে গেছি।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলের চোট পাওয়ায় টেস্ট সিরিজে থাকা হয়নি সাকিব আল হাসানের। তার অভাব ভীষণভাবে অনুভব করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব না থাকায় সেটিই স্পষ্ট হল ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কথাতেও। গত দুই বছরে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডকে কাবু করার নায়ক ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দলের সেরা তারকা না থাকায় ভুগেছে দল, ‘ম্যাসিভলি। আমার মনে হয় ওর (সাকিবের) ব্যাটিং বা বোলিং মিস করেছি। আমরা সবাই জানি ওর সামর্থ্য।’
মিরপুরের উইকেট ছিল স্পিনারদের স্বর্গ। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনাররা এই পিচে ছিলেন ভয়ংকর। ব্যাট হাতেও এসব কঠিন উইকেটে রান করার নজির আছে সাকিবের। মিরপুরের মাঠের ঠিক আগের টেস্টেই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব, ব্যাট হাতেও রেখেছিলেন অবদান। সব মিলিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কন্ঠে সাকিব না থাকার আক্ষেপ, ‘বিশেষ করে ওর বোলিং এই উইকেটে আরও ভয়ঙ্কর হতো। কারণ ওর কন্ট্রোল আরও ভালো। ও ব্যাটসম্যানদের আরও রিড করতে পার। খুব তাড়াতাড়ি ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারে। আর সবাই জানে, ও একজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। সেদিক দিয়ে ওকে অনেক মিস করেছি।’



 

Show all comments
  • Manik Biswas ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৫৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের উচিত তাদের ভুল গুলো থেকে শিক্খা গ্রহন করা।এবং পরবর্তীতে ভালো করা।টাইগারদের জন্য শুভ কামনা থাকলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ