রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মো. আশরাফুল আলম, বাকৃবি থেকে
শিক্ষকদের দ্বন্দ্বের ফসল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে না এবং এর ফলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবিলম্বে ফল প্রকাশের দাবিও জানিয়েছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতকরণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ফলাফল শিটে এক শিক্ষার্থীর নাম্বার ইচ্ছাকৃতভাবে যোগ না করেই সই করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষার্থী থিসিস নকল করে জমা দিয়েছে। সই না করায় কমিটির অন্যান্য সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ ও অধ্যাপক মো. সিদ্দিকুর রহমান তখন আপত্তি জানান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে নূরুল হক আনোয়ার হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। চেয়ার তুলে ও জুতা খুলে তেড়ে আসেন বলেও আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন। ওই পরিস্থিতিতে ওই বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ স্থগিত হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থীর ফল আকটে আছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁরা থিসিস ডিফেন্স দিয়েছেন। এত দিনে তাঁদের ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে বাকিদের ফল জিম্মি হয়ে থাকতে পারেন না বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তারা অবিলম্বে ফল প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন। সৌরভ ইসলাম নামের ওই বিভাগের শিক্ষার্থী জানান, কয়েকদিন পর আমি ও আমার এক সহপাঠী সরকারি একটি ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষা দিতে যাব। আর সেখানে মাস্টার্স পাশের সনদপত্র দেখাতে হবে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় বাছাই ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরি না হওয়ার আশঙ্কায় আছি। ওই বিভাগের আলিম আল সজিব নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে এসেছি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মাস্টার্সের সনদ অথবা নম্বরপত্র জমা দিতে হবে। জানি না দিতে পারবো কি না। বিভাগীয় প্রধান ও কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, নকল থিসিসটি ছাড়া বাকি শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র তৈরি করে আমি সই দিয়েছি। কিন্তু কমিটির বাকি সদস্যরা ওই থিসিসটির নম্বর না তোলায় সই দেন নি। তাঁদের সই যাওয়া মাত্রই ফল প্রকাশের সুপারিশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক আবদুর রহমান সরকার বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির চেয়ারম্যানের (বাকৃবি ভিসি) সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী বুধবার কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।